#Pravati Sangbad Digital Desk:
বাঙালীর মন থেকে চিরকালের মতোন বিদায় নিয়েছে করোনা। আর তাই ঘরে মন টেকনো বেজায় দ্বায়। তার ওপর গরমের শুরু, বসন্তের ছোঁয়া, ফুরফুরে হাওয়ায় কোন বাঙালী না চায় ঘুরে বেড়াতে। আর যদি হয় ভ্রমণ প্রেমী তো কথাই নেই। তাই এই কারণে চিন্তার কোনো কারণই নেই। হাতে সামান্য কিছু টাকা আর কিছুটা সময় নিয়ে এক্ষুনি বেরিয়ে পড়ুন দার্জিলিং এর এই অচেনা জায়গায়। এককথায় "সুন্দর যেখানে ভয়ঙ্কর"। চুলা বা চুলে শব্দের মাধ্যমে চুল্লি বা ওভেনকে বোঝানো হয়। তিনটি ছোট পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা এই গ্রাম। দূর থেকে যার শোভা চুল্লি বা ওভেনের মতোই মনে হয়। তাই এই গ্রামের নাম তিনচুলে। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত এই পার্বত্য এলাকা তাকদাহ থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। সমুদ্রতল থেকে প্রায় ছয় হাজার ফুট উচ্চতার এই স্থান কালিম্পং পাহাড়ের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে। এখানকার তিনচুলের মূল আকর্ষণ কমলা অর্কিডের বন।
রয়েছে এক সুদৃশ্য মনেস্ট্রি। যেখানে এক লামা ১৭ বছর ধরে ধ্যানমগ্ন ছিলেন বলে কথিত রয়েছে। খুব কম দূরত্বের মধ্যে পাহাড়ের কোল বেয়ে নেমে আসা ছ'টি চা বাগান এলাকার সৌন্দর্য্যের মুকুটে পালক যোগ করেছে। তিনচুলে ভিউ পয়েন্ট থেকে সূর্যোদয় দেখার মজাই আলাদা। গুমবাদারা ও লাভার্স ভিউ পয়েন্ট থেকে পাহাড়, নদী, বন ও মেঘের প্রেমালাপ কানে পৌঁছলে মনে হবে তিষ্ঠ ক্ষণকাল। পাখির কলতানে ঘুম ভাঙা সকাল আর এক কাপ গরম চা মুগ্ধ করে দেবে সকলের মেজাজ। পাহাড় এবং উপত্যকার শোভা আরও স্পষ্ট হয় এই সময়। শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ধরে পৌঁছতে হবে শিলিগুড়ি। বাস বা বিমানেও পৌঁছে যাওয়া সে শহরে। এরপর সড়কপথে ৭৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে বাস, ট্যাক্সি প্রাইভেট গাড়িকে সাথে নেওয়াই যায়। যাত্রাপথ তিন ঘণ্টার বেশি দীর্ঘ না হওয়াই ভালো। তাই আর দেরী না করে সামার ভ্যাকেশন কাটাতে বেরিয়ে পড়ুন ঝটপট।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Aankhi Banerjee