শীত পড়তেই পরিযায়ী পাখির ভিড়, সুদূর সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসে এই পাখির দল

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

শীত পড়তেই পরিযায়ী পাখির ভিড়, সুদূর সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসে এই পাখির দল

মালদহের গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ১০০ একর জমির উপর আদিনা বনাঞ্চল। এখানে ডিয়ার পার্ক, নীল গাই, রকমারি বন্যপ্রাণীর পাশাপাশি পরিযায়ী পাখি দেখতে ভিড় জমান প্রচুর পর্যটক। পরিযায়ী পাখিদের বংশবিস্তারের জন্য এখানে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে বনদফতর। বাড়তি নজর দেওয়া হয় পরিবেশ সংরক্ষণে।

বন দফতরের উদ্যোগে মালদহের আদিনা বনাঞ্চলে শুরু হল পরিযায়ী পাখি সুমারির কাজ। প্রতি বছরই আদিনা বনাঞ্চলের পাখিরালয় এসে অস্থায়ী বাসা বাঁধে ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পরিযায়ী পাখির দল। গত বছর এখানে পাখির সংখ্যা ছিল ৩০ হাজারেরও বেশি।


 ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদী এবং জলাশয়ে মূলত জলঢাকা, এবং তিস্তা নদী সংলগ্ন জলাশয়গুলিতে পরিযায়ী পাখিরা শীতের সময় থাকতে পছন্দ করে। সুদূর সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আসে এই পাখির দল। ফিবছর বিভিন্ন প্রজাতির রংবেরঙের পাখিরা এখানে আসে।

নদীর পাশাপাশি স্বচ্ছ জলাশয়গুলোতেও ডেরা তৈরি করে৷ হরেক রকম পাখি দেখতে প্রচুর পর্যটক আসেন দূরদূরান্ত থেকে। কিছুদিন আগেই হাজির কয়েকটি প্রজাতির পাখি তিস্তা, জলঢাকা নদী ও কয়েকটি জলাশয়ে। জলপাইগুড়ির তিস্তা রেলসেতু সংলগ্ন জলাশয়ে এদের দেখা মিলেছে। তবে শীতের একদম শুরুতেই আসতে শুরু করায় বেশ উচ্ছ্বসিত পাখিপ্রেমীরা। ব্রাহ্মিজগুজ, রুড়িশেলডাক, কমন গুজ, পিন্ডেল, লেজার হুইসলিং সহ বেশ কয়েক প্রজাতির পাখি ইতিমধ্যেই ডেরা জমিয়েছে। শীত পুরোপুরি পড়ার আগেই আরও পাখি আসবে বলে মনে করছেন পাখি বিশেষজ্ঞরা৷


একদল ফিরছে বাংলাদেশে, কিছু ভারতে। সেই মুহুর্তে সূর্যের স্নিগ্ধ আলো মানুষের চোখে চোখ রেখে জানান দিচ্ছে, ‘দেশ-কাল-সীমান্ত সব তোমাদের জন্য। আমরা স্বাধীন। কারণ আমাদের কোনো সীমানা নেই। ’

মানুষের তৈরি কাঁটাতারের রাজনৈতিক সীমান্ত কি বিষয়, তা তো জানে না পশুপাখিরা। জানলেও মানে না আকাশ-জল-জঙ্গল। তাই তো অগ্রহায়নের মাঝামাঝি শীতের আমেজ পড়তেই দুই বাংলার সুন্দরবন সীমান্তে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমাতে শুরু করেছে।

পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে দক্ষিণ ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের কালীতলার পাখিরালয় গ্রাম লাগোয়, ভারতের শেষ ভাগের ফরেস্ট ঝিঙেখালি। অপর পাড়ে বাংলাদেশের কৈখালি, কুঁড়েখালি, কালমঞ্চি জঙ্গল।

সারাবছরই নানান প্রজাতির পাখিদের বাস এই সীমান্তবর্তী জঙ্গলে। তারই সুবাদে কালীতলা পঞ্চায়েতের অংশ গ্রামটির নাম রাখা হয়েছিল পাখিরালয় গ্রাম। বিশেষ করে শীত মৌসুম এলেই দেশি-বিদেশি পাখিদের আনাগোনা বেড়ে যায় দুই বাংলার এই জঙ্গলজুড়ে।  


পাখিদের দেখার জন্য হিঙ্গলগঞ্জের স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জঙ্গলের পাশ বরাবর কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। সুন্দরবনের পাখিরালয় দেখার জন্য গেস্টহাউসও তৈরি করা হয়েছে। মানুষের ভিড় বাড়লে আগামী দিনে গেস্টহাউস আরও বাড়াবে।


#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : প্রিয়শ্রী

Related News