“ভোট দেওয়া জনগণের নিজস্ব অধিকার”-হরেন্দ্র সিং

banner

#Exclusive Candid Interview:

রাত পোহালেই পুরভোট। তার আগে শেষ আজ শুক্রবার ভোটপ্রচারে ঝড় তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। ঢাক-ঢোল, মাইক বাজিয়ে প্রচার সারল তৃণমূল । সকলের মুখেই একটাই কথা পুর-নির্বাচনে আবারও সবুজ ঝড় উঠবে। ঠিক এমনি কথাই জানালেন দমদম ক্যান্টনমেন্ট পৌরসভার চেয়ারম্যান শ্রী হরেন্দ্র সিং। সকাল সকাল  প্রভাতী সংবাদের মাধ্যমে তুলে ধরলেন নিজের রাজনৈতিক জীবন সহ আরো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
হরেন্দ্র সিং জানালেন, সালটা ছিল তখন ১৯৮৬-৮৭ ছাত্র বয়স থেকেই  রাজনীতির প্রতি তার একটা টান ছিলো। কলেজে পড়ার সময় কংগ্রেস ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত থাকলেও নিজের পাড়ায়, কাকু-জেঠু, দাদাদের, সাথে পার্টি করতেন। ১৯৯৪ সালে ১০নং ওয়ার্ড থেকেই জাতীয় কংগ্রেসের তরফ থেকেই প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান এবং তিনি জয় লাভ করেন। তার কথায়,"আমি সর্বদা লাল বাহাদুর সিং এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কেই নিজের রাজনৈতিক গুরু বা পথপ্রদর্শক হিসেবে মেনে এসেছি।"
২০১৫ সালে তিনি পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন করেছেন বলেও জানান তিনি। তার কথায়, "আগে দমদম টাউনহলের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, রাস্তাঘাটের অবস্থাও ঝোপ-জঙ্গলে ঘেরা ছিল এবং রাস্তাগুলো সব কাঁচা ছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এখানকার এলাকার অবস্থা পুরো পাল্টে দিয়েছি। সুন্দর সুন্দর ৩টে সুইমিং পুল বানিয়েছি ৩টি কোনায়। এলাকাবাসীদের সুন্দর স্বচ্ছর একটি বাসভূমি গড়ে তুলেছি আমরা। রাস্তাগুলো পাকা করেছি।" 
নির্বাচনের পরে একটাই লক্ষ্য বলে দাবি করলেন তিনি। তার বক্তব্য, "তৃণমূল কংগ্রেস কোনো উন্নয়ন করতেই বাকি রাখে নি। রাজ্যের মানুষের যাতে কোনো বিষয় কোনো সমস্যা না থাকে সেই বিষয়টা সব সময় আমরা নজরে রাখি। এবারেও তার অন্যথা হবে না। 

নির্বাচনের পরের প্রস্তুতি নেওয়া হবে পুরোপুরি ভূগর্ভস্থ ড্রেনের। এতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হলেও জল জমার যে সমস্যা তা আটকানো যাবে। 
তিনি বলেন, "এই অতিমারীর সময় এলাকার প্রতিটি মানুষের পুরোপুরি ভ্যাক্সিনসনের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এমনকি ১৫-১৮ বয়স বাচ্চাদের জন্য স্কুলে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তাছাড়াও আলাদা করে স্কুলের বাইরে বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি আমরা। বয়স্কদের জন্য বুস্টার-ডোজ দেওয়া হচ্ছে। যেই সব মানুষের সশরীরে ভ্যাকসিন নিতে আসতে কোনো সমস্যা হচ্ছে তাদের জন্য বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থাও হচ্ছে।"  করোনা বিধি নিষেধ মেনেই তেমন কোনো জনসভা করেন নি বলে জানান। যতটা সম্ভব মানুষকে সচেতন করেই গেছেন। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলছেন, নিজেও করছেন। 
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বেশ আশাবাদী তিনি। বললেন , "আমাদের কোনো আশঙ্কা নেই, কারণ আমরা তো কোনো খারাপ কাজ করি নি। মানুষের জন্য কাজ করেছি, তারাই বিচার করবেন। মানুষ উন্নয়ন চেয়েছে, আমরা তাদের ভালোর জন্য উন্নয়ন এনেছি। যাদের আশঙ্কা করা দরকার তারা করুক। সময় হলে তো কাউকেই রাস্তায় মানুষের পাশে দেখা যায় না। তারা আবার বলে মানুষের জন্য কাজ করেছে। এতই জন্য মানুষের জন্য ওরা কাজ করেছে তাহলে মানুষ ওদের বারবার সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছে ভোটের  ফল দিয়েই।"

জনগণদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, "সকাল সকাল ভোট দেবেন, নিজেদের ভোট নিজেরাই দেবেন, এটা আপনাদের অধিকার, মনে রাখবেন আপনারাই আসল উন্নয়ন আনবেন। অন্যায়ের কাছে কোনোদিনও মাথা নিচু করবেন না। মনে রাখবেন আপনারা যত ভয় পাবেন ওরা আপনাদের তত ভয় দেখাবে।"
বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, "আপনারা শান্তিপূর্ণ ভোটটা হতে দিন। আমারদের এটা গণতান্ত্রিক দেশ। সকলের নিজস্ব ইচ্ছে অনিচ্ছে আছে। মানুষকে মানুষের কাজ করতে দিন। অযথা ভয় বা আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নেবেন না।"

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sayantika Biswas

Tags:

Related News