“গারুলিয়ার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকেই নির্বাচনে জেতাবে।”- রমেন দাস

banner

#Exclusive candid interview :

মানুষ এখন উন্নয়নেই মত্ত। কি কিছু কি ভুল হলো কথাটা? একদমই নয়। রাস্তা-ঘাটে, গ্রাম বাংলায়, শহর-জেলায়, জনগণ বেজায় খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আনা বেশকিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্পে। আর এই উনন্নয়ের ফল তো বিধানসভা থেকে শুরু করে আসন্ন পুরভোটে সকলেই সেটা দেখতে পাচ্ছে।
উত্তর ২৪পরগনার ঠিক এমনি একটি জেলা, নাম "গারুলিয়া", যার নির্বাচনের দিন প্রায় এগিয়েই এসেছে বললে চলে। ভোটের টুকিটাকি কিছু খবর জানতেই প্রভাতী সংবাদের প্রতিনিধি আমরা সায়ন্তিকা বিশ্বাস এবং তমজয় শ্রীমানি, আমরা পৌঁছে গেলাম গারুলিয়া পৌরসভার  চেয়ারপার্সন তথা ২০ নাম্বার ওয়ার্ডের রমেন দাসের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা জেনে নেওয়ার জন্য।
শ্রী রমেন দাসের সাথে একান্তে সাক্ষাৎকারে আমি সায়ন্তিকা বিশ্বাস এবং ক্যামেরায় তমজয় শ্রীমানি -
●● "নমস্কার দাদা, আপনার রাজনৈতিক জীবনে যাত্রা শুরু কিভাবে হলো?
●● "আমি ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলতে খুব ভালোবাসতাম, আর মোটামুটি ভালোই খেলতাম, এবং সেই সাথে ভোটের মিটিং- মিছিলে কিছুটা পরিমাণ যাওয়া আসা ছিল। সেই সময় আমাদের এলাকা সহ প্রায় প্রত্যেকটি জায়গায় বামপন্থীদের রাজ চলতো। সালটা ছিল ২০০০, তখন নির্বাচনে সিপিএমের বিরুদ্ধে কোনো দল থেকেই প্রার্থী হিসেবে  কেউ দাঁড়াতে চাইছিলো না। তখন একজন কর্মী আমাকে বলেছিলেন যে তুমি তো মোটামুটি মিটিং-মিছিলে যাওয়া আসা করো, আর খেলাধুলাতেও বেশ পটু, তুমি তাহলে এবারের প্রার্থী হয়ে যাও বামপন্থীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও। তখুনি আস্তে আস্তে সকলে অনুরোধ করা শুরু করলেন এবং আমি সকলের অনুরোধ রেখে সেই সময় সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াইতে নামি আর জয়ী হই। সেই থেকে আমার রাজনৈতিক জগতে প্রবেশ শুরু হলো আর এখনো অব্দি আমি সেই জায়গাটা  ধরে রেখেছি।

●● "আচ্ছা দাদা, আপনার মা-বাবা কি কোনোদিনও ভেবেছিলেন যে এই রাজনৈতিক মহলে আপনি প্রবেশ করবেন এবং একজন সুপ্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিকবিদ হবেন?
●● "না সেইভাবে মা-বাবা কোনোদিনও আশা করেননি বা ভাবেন নি যে আমি এই পথে আসবো। এমনিতে বাড়িতে সকলেই কংগ্রেস করতেন। আমিই একটু বেমানান হয়ে গেলাম।
●● "সম্প্রতি ৪টি পুর-নিগমের ফল প্রকাশ হয়েছে, তাতে দেখা গেছে বিধাননগর সহ বাকি পৌরসভাগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে, এই গারুলিয়া পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে আপনারা কতটা আশাবাদী?
●● "সত্যিকথা বলতে আমার দিদি, আমার মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জন্য এবং রাজ্যের মানুষদের জন্য যা যা কাজ উনি করেছেন, তাতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হিসেবে এবং দলীয় কর্মী হিসেবে আমরা সকলেই খুবই গর্ব করি। আর এখানে গারুলিয়ার মানুষজন দেখছেন কি কি উন্নয়ন হচ্ছে, তারা দেখছেন শাসকদলের পরিশ্রম আর বিরোধীদের অত্যাচার, মানুষের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে, কিন্তু এবার শুধু মানুষের উন্নয়ন হবে।"
●● "সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন যে তৃণমূলের সকল পদ অবিলুপ্ত হলো, এই বিষয় নিয়ে বিরোধীদের নানান কটাক্ষ শোনা যাচ্ছে, এই বিষয় কি বলতে চাইবেন?"
●● "বিরোধীদের আর কাজ কি, দিনরাত শাসকদলের নামে কুৎসা রোটাতেই তারা ব্যস্ত। আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সিদ্ধান্ত নেন বা নিয়েছেন তিনি খুবই ভেবে চিন্তে নিয়েছেন। সাময়িক ভাবে অনেকেই হয়তো ভাবেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বা নিচ্ছেন তা আদেও ঠিক কিনা। কিন্তু আমি জানি না আমার মতের সাথে কার মত মিলবে, তাও আমি এই কথা বলতে চাই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি না থাকতেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি কোনোদিনও তৈরিই হতো না। উনি আছেন এবং এখনো শক্ত হাতে হাল ধরে আছেন বলেই এখনও তৃণমূল কংগ্রেস এতটা শক্তিশালী হয়ে আছে। আর বিরোধীরা যে এত নোংরামি করে যাচ্ছে নিজেদের সেই নোংরামি নিয়ে কথা বলতে পারেন তো বিরোধী দলের নেতৃত্বরা, শুধু শুধু শাসকদলের দিকে বেকার আঙ্গুল তুলে তো কোনো লাভ নেই।"
●● "গারুলিয়া পৌরসভার চেয়ারপার্সনের পদে থাকাকালীন কি কি উন্নয়নমূলক কাজ আপনি করেছেন?"
●● "আমি গারুলিয়া পৌরসভার চেয়ারপার্সনের পদে থাকাকালীন মানুষের জন্য ঠান্ডা পানীয় জলের ব্যবস্থা আরো উন্নত করেছি। মানুষের চলা ফেরার জন্য রাস্তা-ঘাটের অবস্থা তেমন ভালো ছিলো না খুবই উঁচু-নিচু, এবড়ো-থেবড়ো ছিলো, সেই রাস্তা আমি আসার পর পাঁকা রাস্তাতে পরিণত করেছি, গারুলিয়ার ওয়ার্ড নং ২০ তে আগে মানুষ সিপিএমের সন্ত্রাসের ভয়ে ওই দিকে যেতে চাইতো না, আমি আসার পর মানুষদের মন থেকে সেই ভয়টা দূর করতে সক্ষম হয়েছি। যতটা পারি নিজেকে এলাকাবাসীর জন্য উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছি।
●● " আসন্ন নির্বাচনে জিতলে আপনাদের পরিকল্পনা কি আছে?
●● "আমাদের খুবই ইচ্ছে ওয়ার্ড এবং এলাকার মহিলাদের জন্য আমরা একটি "ম্যাটারনিটি হোম" তৈরি করবো। এটা মহিলাদের জন্য খুবই উপযোগী। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে এই বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে খুব শিগগিরই এই কাজ শুরু হবে।
●● "জনগণের কি দাবি আপনাদের কাছে?" 

●● "জনগণের দাবি আর কিছুই নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা প্রকল্প এনেছেন বাংলার মানুষদের জন্য, তাদের কথা ভেবে, এই যেমন রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, , সবুজসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, তাছাড়া নানান ধরনের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দ্বারা ঘরে ঘরে মা-বোনেরা আজ নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে, নিজেরা স্বনির্ভর হয়েছেন। দিন দিন উন্নয়নের মাত্রা বাড়ছে। জনগণ এতেই খুশি, এবং তারা দু'হাত তুলে তাদের বাংলার মেয়ে, ঘরের মেয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করছেন। আর আমরা যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কর্মী এবং নেতৃত্বেরা আছি, তার এই উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এবং দিদির দেখানো পথেই আমরা গর্বিত হয়ে এগিয়ে যাবো।"

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Tamojoy Shrimany

Tags:

Related News