#Pravati Sangbad Digital Desk:
বেশ কয়েকদিন ধরেই ডাক্তারির স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা করার প্রবেশিকা নিয়ে চলছিল দোটানা। প্রথমত জানানো হয়েছিল ২০২২ এ পরীক্ষার সময়সূচী পিছিয়ে দেওয়া হবে। তার কারণ করোনাভাইরাসের প্রকোপ। সরকারি নির্দেশে জানানো হয়েছিল, ১২ ই মার্চ ২০২২ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয় সেই তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হবে। আর কারণস্বরূপ বলা হয়েছিল ২০২১ এর পরীক্ষার কাউন্সেলিং পিছিয়ে যায় এবং ২০২২ এ এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিনই সেই কাউন্সিলিং এর তারিখেই। ২০২২ এ নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা হবে বলে ঠিক করা হলেও তা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ আসছিল। কারণ একই দিনে দুটি কাজ সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়েই পিছিয়ে দেওয়া হয় ২০২২ এর পরীক্ষার সময়সূচী। প্রধানত এমডি ও এমএস এর মত উচ্চস্তরের পড়াশোনা করতে গেলে যে প্রবেশিকা দিতে হয় তা হল নিট পিজি। ডাক্তারির স্নাতক স্নাতকোত্তর স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট। ইতি মধ্যেই জানা যাচ্ছে সেই পরীক্ষাই উঠিয়ে দেওয়া হবে। তার বদলে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের দিতে হবে এগজিট টেস্ট। ডাক্তারি পাশ করার পর যেসব পড়ুয়া স্নাতকোত্তরে পড়তে চায় তাদের এগজিট টেস্টের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বরের দ্বারা মেধা তালিকা করা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত এই ব্যাপারে নেওয়া হয়নি।
শুধুমাত্র এনএমসির একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষাটি হবে দুটি পর্যায় প্রথম পার্ট-ওয়ান এবং দ্বিতীয় পার্ট-টু। যখন এমবিবিএস পড়ুয়াদের প্রি-ক্লিনিক্যাল এবং প্যারা-ক্লিনিক্যাল পড়া হয়ে যাবে তখন আড়াই বছরে হবে পার্ট-ওয়ান এগজিট টেস্ট। এরপর যখন পড়ুয়াদের শেষ বর্ষ তখন হবে পার্ট-টু এর পরীক্ষা এবং এই দুই পরীক্ষার উপর ভিত্তি করেই নেওয়া হবে যোগ্য ছাত্র-ছাত্রীদের। একসাথে এন্ট্রান্স পরীক্ষা না নিয়ে ধাপে ধাপে এই ভাবেই যোগ্য পড়ুয়াদের বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Sagarika Chakraborty