সব প্রস্তুতি সারা, এখন চাঁদের বুকে নামার শুধু সময়ের অপেক্ষা
ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে ভারত। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তথা 'ইসরো' জানিয়েছে, চাঁদের নামের আগের শেষ ২০ মিনিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। গোটা মুন মিশনের কাছে এই কয়েক মিনিটই সব চয়ে চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে বলে মত তাদের! 'ইসরো'র প্রধান বলেছেন, চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। এই অবতরণ সরাসরি সম্প্রচারের পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছে 'ইসরো'।
ইসরো জানিয়েছে, গোটা বিশ্বের মানুষ চাঁদের বুকে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের অবতরণ দেখতে পারবেন সরাসরি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বুধবার বিকেল ৫টা বেজে ২৭ মিনিটে ইসরো-র ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার শুরু হবে। ISRO-র ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলেও সরাসরি সম্প্রচারিত হবে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের অবতরণ। এর পাশাপাশি DD National টিভি চ্যানেলেও দেখানো হবে সরাসরি।
টুইটে ভারতের পতাকা শেয়ার করলেন ইলন মাস্ক চন্দ্রযান-3 চাঁদের মাটিতে পা রাখতে চলেছে। আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তার আগেই ইলন মাস্ক ভারতের এই মিশনের প্রশংসা করেছেন। আর ভারতের পতাকার একটি ইমোজি শেয়ার করেছেন। সঙ্গে ভারতের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন।
ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকবে ভারত তথা গোটা বিশ্ব। আজ বুধবার ভারতীয় সময় ঠিক সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করতে চলেছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’।
ত চার বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন ISRO-র একাধিক বিশেষজ্ঞ। প্রায় এক হাজার ইঞ্জিনিয়ার এবং গবেষকরা দিন-রাত কাজ করেছেন যাতে ভারত চাঁদ ছুঁতে পারে। একাধিক মানুষের মেধা, পরিশ্রম মেশানো রয়েছে চন্দ্রযান ৩ মিশনে।
চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য নির্ভর করছে শেষ ১৫ মিনিটের মধ্যেই৷ কারণ, ঠিক এই সময়ে প্রযুক্তিগত ভাবে গতি নিয়ন্ত্রণ করে সফট ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’৷ ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান যার বিবরণ দিয়েছেন, ‘টেরর অফ ১৫ মিনিটস’ বলে ৷
গোটা দেশ তাকিয়ে রয়েছে চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণের অপেক্ষায়। সব ঠিকঠাক থাকলে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফ্ট ল্যন্ডিং হবে চন্দ্রযান-৩ এর। গোটা দেশ প্রার্থনা করছে সাফল্য কামনায়। কিন্তু জানেন এই কঠোর পরিশ্রম যাঁরা করছেন সেই সকল বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার ছেলেরাও। দেশ তো বটেই পাশাপাশি ছেলের সাফল্য কামনায় প্রহর গুনছেন পরিবারের লোকজনও।