#Pravati Sangbad Digital Desk:
গোয়ার অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে মোহনবাগান হায়দ্রাবাদকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ১৩ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ৪ নম্বর স্থানে অবস্থান করছে ও হায়দ্রাবাদ এফসি গতকালের ম্যাচ হেরে গেলেও তারা লীগের এক নম্বর স্থানেই থাকে। গতকালের ম্যাচের প্রথমার্ধে তেমন গোল না হলেও, দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান কোচ ফেরান্ডো লিস্টোন কোলাসো ও মানবীর সিং কে দিয়ে উইং প্লে শুরু করান, এবং তাতেই মোহনবাগান দুটি গোল পেয়ে যায়, তাছাড়াও দুই গোল হওয়ার পর মোহনবাগানের ডিফেন্স হঠাৎই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, ঠিক সেই সুযোগ বুঝে হায়দ্রাবাদের খেলোয়াড়রা এক গোল শোধ করে দেয়, তারপরেই তেড়ে-ফুঁড়ে ওঠে হায়দ্রাবাদ এবং জেতার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। আর্টিক সেইসময় মোহনবাগানের লিস্টোন কোলাসো সেই সময় অনেকগুলি সুযোগ মিস করে, এবং তা দেখে মোহনবাগান সমর্থকদের মনে গেল গেল রব ওঠে, তারপরে মোহনবাগান ডিফেন্স একটু হলেও সামলে ওঠা এবং তারা এক গোল হজম করেই শান্ত হয়, এবং দিনশেষে ২-১ গোলে জয়লাভ করে।
হায়দ্রাবাদ এফসির মনালো মার্কেজ ৪-২-৩-১ ছকে সাজিয়েছিল, আজ গোলকিপার কাটটিমানি, ডিফেন্ডার আকাশ মিশ্র, যুয়ানান, আশিষ রাই, মিডফিল্ডে জাও ভিক্টর, সৌভিক চক্রবর্তী, জয়েল চিয়ানেশ, অনিকেত যাদব, নিখিল পূজারী ও আক্রমণে ছিলেন অগবেছে। এটিকে মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্ডো তার দলকে সাজিয়েছিল ৪-২-৩-১ ছকে তাদের গোলকিপার ছিলেন আমৃন্দর সিং, ডিফেন্সে ছিলেন তিরি, প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাস ও শুভাশিস বোস, মিডফিল্ডে ছিলেন লেনি রদ্রিগেজ, মানবীর সিং, লীষ্টন কোলাসো ও হুগো বৌমস এবং আক্রমণে ছিলেন ডেভিস উইলিয়াম।
প্রথমার্ধে খেলার শুরু থেকে দুই দলই তাদের খেলার দিক দিয়ে একটু দিশেহারা হয়েছিল, দুই দলেরই পজিশন গেম খেলতে খেলতে গিয়ে বারবার মিস হচ্ছিল এবং আক্রমণ তৈরিতে তারা ব্যার্থ হচ্ছিল। মোহনবাগানের আক্রমণে ডেভিড উইলিয়ামস সঠিকভাবে হায়দ্রাবাদের গোলমুখে আক্রমণ করলেও গোল পাচ্ছিলেন না। অপরদিকে হায়দ্রাবাদের আক্রমণভাগের ওগবেচের ও একই অবস্থা ছিল, এই ভাবেই প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় এবং দুই দলের গোল স্কোর ০-০ হয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরুতে এটিকে মোহনবাগানের কোচ যুয়ান ফেরণ্ডো, তাদের দলের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কার্ল ম্যাকহিউর পরিবর্তে মাঠে আনেন ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা কিয়ান নাসিরিকে, ও হুগো বৌমৌস এর পরিবর্তে মাঠে আনেন জন কাউকো কে। সেখানেই সম্পূর্ণ ম্যাচ মোহনবাগান এর হাতের মুঠোয় চলে আসে, সেখান থেকেই মোহনবাগানের দুই উইং হায়দ্রাবাদকে আক্রমণ করে অতিষ্ঠ করে তোলে ও ৫৬ মিনিটে লিষ্টোন হায়দ্রাবাদের ডিফেন্স কে ধ্বংস করে অসাধারণ স্কিল এর মাধ্যমে তাদের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে প্রবেশ করে গোলকিপার কে পরাজিত করে প্রথম গোলটি পাইয়ে দেন তার দলকে। সেই গোলের পর হায়দ্রাবাদ আক্রমণ করলেও তার সাথে সাথেই কাউন্টার এটাক এর মাধ্যমে ৫৯ মিনিটে মানবীর আরো একটি গোল দেন এবং মোহনবাগান স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়। দু গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেই মোহনবাগানের ডিফেন্স যেন ছন্নছাড়া হয়ে যায় তারপর হঠাৎ ৬৭ মিনিটে হায়দ্রাবাদের জয়েল চিয়ানেশ একটি গোল দেয় এবং স্কোর হয় ২-১। তারপর এই ভয়ের সঞ্চার হতে থাকে এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্সে, তার মধ্যেও লিষ্টোন অনেকগুলি কাউন্টার অ্যাটাক এর মাধ্যমে হায়দ্রাবাদের ডিফেন্সকে ও দিশাহারা করে রেখেছিল, এবং তার সাথে সাথে অনেক সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন তিনি। সবশেষে খেলা শেষ হয় ২-১ গোলে ও মোহনবাগান জয়লাভ করে।