#Pravati Sangbad Digital Desk:
ভারতবর্ষের মেয়েদের এশিয়ান কাপ খেলার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো ভারতের মাটিতে। ভারতবর্ষের মাটিতে মেয়েদের এশিয়ান কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে, ভারতবর্ষের মহিলা ফুটবল দলের সুযোগ মিলেছিল টুর্ণামেন্টে খেলার। এই টুর্নামেন্ট অনুযায়ী গ্রুপ লীগের তিনটি ম্যাচ এর মধ্যে যেকোনো একটিতে জিততে পারলেই মিলে যেত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার ছাড়পত্র, ও তার সাথে সাথে প্রথম ৬ টি দলের মধ্যে থাকতে পারলে মিলতে পারত পরের বছর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে হতে যাওয়া মেয়েদের বিশ্বকাপ খেলার টিকেট।এমন সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য ভারতের মহিলা ফুটবল দল গত এক বছরে প্রচুর খরচ করে এই মেয়েদের দল কে তৈরি করতে এবং আনা হয়েছিল বিদেশি কোচ টমাস ডেনারবিকে। এমনকি এই দল ব্রাজিল এগিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে এসেছে।
এশিয়ান কাপের গ্রুপ লীগে ভারতের প্রথম ম্যাচ ছিল ইরানের সাথে, যা ভারত ড্র করে। রবিবার দিন মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই প্যাটেল স্টেডিয়ামে ভারতের গ্রুপ লিগের দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল চীনা তাইপের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে একসঙ্গে ১২ জন ফুটবলার কোভিড পজিটিভ হয়, তার দরুনই বাতিল হয় ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচটি, এবং ম্যাচের রেজাল্ট চীনা তাইপের স্বপক্ষে যায়। সেদিন মাঠে রেফারী এবং চীনা তাইপের মহিলা ফুটবলার মাঠে নেমে প্র্যাকটিস শুরু করে দিলেও, ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের দেখা মেলেনি।
এএফসি নিয়মে ৪.১ ধারা অনুযায়ী, যদি কোন দল কোন ম্যাচে একজন গোলকিপার সহ ১৩ জন ফুটবলার না নামাতে পারে তবে সেই দলকে টুর্নামেন্ট থেকে বাতিল করা হবে। এবং রবিবার ভারত ১৩ জন ফুটবলারের তালিকা ম্যাচের আগে জমা করতে পারেনি, ভারতীয় টিমে ২৩ জন ফুটবলার রয়েছেন এবং সেখানেই ১২ জন ঘরবন্দী। তার ফলে নিয়ম অনুযায়ী ভারতকে টুর্নামেন্ট থেকে বাতিল করবে এফসি।
তবে আই এফ এফ এর তরফে এএফসির অ্যাপেল কমিটিতে আবেদন করা হয়েছে যাতে পরিস্থিতির বিচার করে তাদের বাতিল না করা হয়। কিন্তু এমন কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে বায়ো-বাবেলে টিমকে রেখেও কি করে একসঙ্গে এত জন ফুটবলারের কোভিড পজিটিভ হয়ে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। ইরান ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের মোট দুজন খেলোয়াড় কোভিড পজিটিভ ছিল, এবং তাদেরকে বাদ দিয়ে বাকি ১৫ জন খেলোয়াড় মাঠে নেমেছিল প্র্যাকটিসের জন্য। তার পরেও কিভাবে আরো চারজন কোভিড এ আক্রান্ত হলেন তা নিয়ে ফেড়ারেশনের তরফ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি।