Flash News
Monday, September 22, 2025

পিছু ছাড়তে নারাজ অ-'মঙ্গলের' বৃষ্টি; কলকাতায় পারদ নিম্নমুখী; কী বলছে আবহাওয়া দপ্তর?

banner

journalist Name : Sutapa Dey Sarkar

##Pravati Sangbad Digital Desk:

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রাতের বেলা তাপমাত্রা কমছে বেশ কিছুদিন ধরেই। সোমবার রাতে তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি থেকে কমে হয় ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলাও তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। অব্যাহত হয়েছে শীতের খামখেয়ালি আচরণ। একদিকে যখন হ্রাস পাচ্ছে রাতের তাপমাত্রা, তখন পিছু ছাড়তে নারাজ ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি। সপ্তাহের শুরুর একেবারে দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মঙ্গলবারও হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে।সুত্রে আরও জানা গেছে যে, সোমবার দিনের তাপমাত্রা ২২.৬ ডিগ্রি থেকে বৃদ্ধি পেয়েছিল ২৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শহরে মঙ্গলবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির মধ্যেই ছিল। তবে বৃষ্টি থেকে কোনমতেই ছুটি মিলছে না। হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও। আকাশ ২৭শে জানুয়ারি থেকে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হবে। শুধু উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে আজ মেঘলা আকাশ থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে রাতের তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফের ২৭শে জানুয়ারি থেকে বঙ্গে শীত অনুভূত হবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, তবে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না যে কবে থেকে আবারো তীব্র শীত পড়বে।


মঙ্গলবার কুয়াশার দাপট থাকবে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলেও। কলকাতায় বিমানবন্দরে কুয়াশার দৃশ্যমানতা কম থাকার দরুণ বিমান ওঠা-নামা চলছে ধীরগতিতে। কৃত্রিম আলো ব্যবহার করা হচ্ছে বিমানবন্দরের রানওয়েতে। তবে বিমান পরিষেবা পুরোপুরিভাবে অব্যাহত না হলেও বেশ কয়েকটি বিমান দেরিতে চলছে। মঙ্গলবার সকাল ৭ টা অবধি কলকাতা বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা ১০০ মিটার নেমে আসে।


আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার তুষার পাত হয়েছে দার্জিলিং ও সিকিমের উচু অংশে। আজ পাঁচটি জেলায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে। ইতিমধ্যেই রবিবার থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। যার জন্য চাষবাসের বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। এই সময়টি আলু চাষের মরসুম এবং শুধু আলু চাষের নয়, বরং মরসুমী ফুল চাষের সময়। তাতেও ক্ষতি হয়েছে বিস্তর। আর মধ্যবিত্তদের হেঁশেলে এই ব্যাপক ক্ষতির কারণে অভাব দেখা দিয়েছে।


আবহাওয়াবিদরা ভরা মেঘে এমন অকাল বৃষ্টির কারণ হিসেবে পশ্চিমীঝঞ্ঝাকেই কাঠগোড়ায় তুলেছেন। সম্প্রতি একটার পর একটা পশ্চিমীঝঞ্ঝা সরাসরি মধ্যভারতে প্রবেশ করেছে। যার জন্য শীতের তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। পড়ন্ত দফায় দফায় চলছে বৃষ্টিপাত। বৃহস্পতিবার থেকে শীতের মেজাজ অনুভূত হলেও তা কতদিন যাবৎ থাকবে তা স্পষ্ট ভাবে এখনও জানায়নি আবহাওয়া দপ্তর। 

Tags:

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Related News