মায়ানমারে ফের ভূমিকম্প। রবিবার সকাল ৭টা ৫৪ মিনিট নাগাদ দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল কেঁপে ওঠে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি)-এর তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার গভীরে।
প্রসঙ্গত, এই কম্পনটি আবার নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে। যদিও এখনো পর্যন্ত প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান জানা যায়নি, তবে ভূকম্প-পরবর্তী ধ্বংসস্তূপে মানুষ আটকে থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। উল্লেখযোগ্যভাবে, গত ২৮ মার্চ সকালে মায়ানমারে ঘটে যায় একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৭। সেই ভয়াবহ কম্পনের জেরে মৃত্যু হয় অন্তত তিন হাজার মানুষের, আহত হন প্রায় সাড়ে চার হাজার। এখনও পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ৪০০-রও বেশি মানুষের। সেই কম্পনের পর থেকে একের পর এক আফটারশকে (পরবর্তী কম্পন) কাঁপছে গোটা দেশ। শুধুমাত্র মেয়ানমারই নয়, তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতেও এর প্রভাব পড়েছে। শুক্রবারও ৪.১ মাত্রার একটি কম্পন অনুভূত হয় মায়ানমারে। ভারতের ভূবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ সংস্থা (ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি) জানিয়েছে, সেই কম্পনের উৎসস্থল ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। ধারাবাহিকভাবে আফটারশকের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
এপ্রিল থেকেই পড়ছে স্কুলের গরমের ছুটি
উলেখ্য, ভূমিকম্পের অভিঘাত শুধু মায়ানমারেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ব্যাঙ্কক শহরে একটি নির্মীয়মাণ ৩০ তলা ভবন ভেঙে পড়ে, সেখানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরগুলি আপাতত উদ্ধারকাজে নেমেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষজনকে উদ্ধার করতে চলছে আপ্রাণ চেষ্টা। আন্তর্জাতিক মহলেও এই ভূমিকম্প নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মায়ানমারের উদ্দেশে।