বুধবার সকাল ১১টা ১২ মিনিটে ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS) এবং ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (USGS)-এর দেওয়া তথ্যে ভূমিকম্পটির তীব্রতা রিখটার স্কেলে যথাক্রমে ৫.৬ এবং ৫.৯ রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানায়, এই ভূমিকম্পটি বঙ্গোপসাগরের গভীরে উৎপন্ন হয়েছে, যার গہرত্ব ছিল ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ৬.৯৫ ডিগ্রি অক্ষাংশ এবং ৯২.৪১ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে। এটি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ক্যাম্পবেল বে থেকে প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং পোর্টব্লেয়ার থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এছাড়া, দিগলিপুর থেকে ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে ১,১১১ কিলোমিটার দূরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এ অঞ্চলের বেশ কিছু বাসিন্দা বুধবারের ভূমিকম্প অনুভব করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই নিজেদের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন, তবে এখনও পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় মানুষরা ভূমিকম্পটি অনুভব করার পর কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, প্রাথমিকভাবে বিশেষ কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
শীঘ্রই বাজারে আসতে চলেছে নতুন ১০০ এবং ২০০ টাকার নোট
উলেখ্য, যেহেতু ভূমিকম্পটি সমুদ্রের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে, তাই স্থলভাগে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম বলে মনে হচ্ছে। তবে, ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এখনও সুনামির আশঙ্কা সম্পর্কিত কোনো তথ্য জানায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং যদি কোনো নতুন তথ্য পাওয়া যায়, তা সাধারণ মানুষকে জানানো হবে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, তবে অঞ্চলটির মানুষ ও প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সমুদ্রের গভীরে হওয়ায় স্থলভাগে তেমন প্রভাব পড়েনি, কিন্তু ভবিষ্যতে এ ধরনের ভূমিকম্পের আরও কোনো প্রভাব পড়বে কিনা, তা পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকবে।