গত কিছুদিন ধরে একাধিকবার ভূমিকম্পের আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা। জানুয়ারির স্মৃতিকে পুনরায় জাগিয়ে তুলে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, যার প্রভাব অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলিতেও।গতকাল রাত ২:৩৬ মিনিট নাগাদ নেপালের বাগমতি প্রদেশে ভূমিকম্পটি হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৫, যার ফলে কম্পন অনুভূত হয় নেপালের সীমান্তবর্তী অঞ্চল ছাড়াও ভারত, তিব্বত, চিন এবং পাকিস্তানে।
উলেখ্য, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল সিন্ধুপালচক, যা নেপালের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতে অবস্থিত। ভূমিকম্পের পরপরই বাংলাদেশসহ ভারতীয় রাজ্যগুলিতে কম্পনের রেশ অনুভূত হয়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়ে কম্পনের প্রভাব স্পষ্ট ছিল। নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে ভবনগুলোর মধ্যে ফাটল দেখা গেছে, তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। যদিও, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে, নেপাল তার ভূমিকম্প প্রবণতার কারণে আফটারশকের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল অসম এবং বাংলাদেশের শিলেট অঞ্চল
অন্যদিকে, একদিন পর, শুক্রবার ভোর ৫:১৪ মিনিট নাগাদ পাকিস্তানেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.৫। তবে নেপাল ও পাকিস্তানে এই ভূমিকম্পের ফলে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এটা স্মরণীয় যে, নেপাল ভূমিকম্পের জন্য একপ্রকার ইতিহাস তৈরি করেছে। ভূতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে, নেপাল ও এর আশেপাশের অঞ্চলগুলির ভূমিকম্পের প্রবণতা আরও বাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে, এখানকার বাসিন্দাদের জন্য সিসমোলজিস্টরা সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত, শুধুমাত্র শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে, কিন্তু আশা করা হচ্ছে যে নেপাল, ভারত, পাকিস্তান ও তিব্বতের অঞ্চলে এই ভূমিকম্পের প্রভাব আরও বিস্তৃত হতে পারে।