মঙ্গলবার সকালে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অনুভূত হলো এক ভূমিকম্পের কম্পন। সকাল ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ কম্পনটি অনুভূত হয়, যার উৎসস্থল ছিল বঙ্গোপসাগরে, ওড়িশার উপকূল থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে সমুদ্রে। কলকাতা থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩৩০ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.১।
প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পের প্রভাব শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ ছিল না, ওড়িশা ও বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল সমুদ্রের ৯১ কিলোমিটার গভীরে। তবে এই কম্পনের কারণে কোনও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এমনকি, এই ভূমিকম্পের পর সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি, যদিও সাগরের গভীরে কম্পন হওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের জেলাগুলির উপর প্রভাব বেশি পড়েছে। এটি প্রথম নয়, এর আগেও, গত জানুয়ারি মাসে তিব্বতের একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প কলকাতা ও গোটা বাংলা অঞ্চলে অনুভূত হয়েছিল, যেখানে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১। এটি উত্তরবঙ্গে ব্যাপক কম্পন তৈরি করেছিল।
পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকদের বেতন বৃদ্ধি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিমালয়ের পাদদেশের এলাকা, যেখানে প্রায়ই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে, সেই অঞ্চলের প্রভাব কলকাতার মতো শহরে পড়তে পারে। তবে সাম্প্রতিক এই ভূমিকম্পটি সমুদ্রের গভীরে ঘটেছে, যার ফলে সুনামির মতো বড় কোনও প্রভাব সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। কলকাতার আশপাশে কিছু ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা রয়েছে, তবে সেগুলি সাধারণত কম্পনের তুলনায় নিরাপদ থাকে। এখন পর্যন্ত কোনও বড় ক্ষতি বা বিপদ না ঘটলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব আরও বাড়তে পারে, যা ভবিষ্যতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয়।