মায়ানমারে গতকাল একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যা দেশের একাধিক অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টির পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। মায়ানমারে পরপর দুটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়, প্রথমটির মাত্রা ছিল ৭.২ এবং পরবর্তীটি ৭। এই ভূমিকম্পের ফলে মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, এবং অন্তত ১০ থেকে ২০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পের জেরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এখানে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়েছে, যেখানে কমপক্ষে ৪৩ জন আটকা পড়েছেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রা ঘটনাস্থলে গিয়ে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ‘স্টেট অব ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করেছেন। ভূমিকম্পের পরপরই তিনি তার পূর্ব নির্ধারিত ফুকেট সফর বাতিল করে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেন। থাইল্যান্ডের মেট্রো ও রেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে, এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে। একটি একাধিক ভবন ভেঙে পড়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ভূমিকম্পের ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, "হঠাৎ সবকিছু কাঁপতে শুরু করল। মনে হল পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। সোজাভাবে দাঁড়ানো যাচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল, এক্ষুণি মরে যাব।"
আগাম জামিন চেয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টে কুণাল কামরা শুনানি আজই
উলেখ্য, ভিয়েতনাম এবং চিনেও ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে। ভিয়েতনাম থেকে জানা গেছে, ভূমিকম্পের প্রভাবে চিনের ইউনান প্রদেশে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়েছে। চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৯।এছাড়া, ভারত এবং বাংলাদেশেও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে, যদিও সেখানে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পাওয়া যায়নি।বিশ্বজুড়ে এই ভয়াবহভূমিকম্পের ফলে বিপদগ্রস্তদের জন্য দ্রুত সহায়তা প্রদান ও উদ্ধার কাজ চলছে। দেশের এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেষ্টা চলছে।