পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ মজবুত, সাফল্য নিশ্চিত করতে উদ্যোগী পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর। গ্রীষ্মের ছুটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কী কী করণীয়, তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের এই নির্দেশিকা মেনে কাজ দেওয়া হবে, যাতে তাদের স্বাধীন চিন্তাভাবনা, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বাড়ে।
নির্দেশিকা জারি করে স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, পড়ুয়ারা যাতে প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি মিশতে পারে এবং তা থেকে আত্মবিশ্বাসী হতে পারে, সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। আর সেই মতো তৈরি করা হয়েছে গ্রীষ্মকালীন প্রকল্পের রূপরেখা। যদিও কোন পড়ুয়া কোন বিষয় পছন্দ করে, তা মাথায় রেখেই নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হবে। নির্দেশিকায় সে কথাই বলা হয়েছে। এক এক ক্লাসের পড়ুয়াদের এক এক রকম কাজ দেওয়া হবে।
পরিবেশ, বিজ্ঞান, হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের আরও সচেতন করতে ও তাদের জ্ঞান বাড়াতে নয়া উদ্যোগ স্কুল শিক্ষা দফতরের। এর জন্য গ্রীষ্মের ছুটিকেই বেছে নিল স্কুল শিক্ষা দফতর। এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে। সেই নির্দেশিকায় গ্রীষ্মের ছুটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কী কী করণীয়, সেই বিষয়ে বলা হয়েছে।
নির্দেশিকা জারি করে স্কুল শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, পড়ুয়ারা যাতে প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি করে মিশতে পারে এবং তা থেকে নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে, সেই জন্যই এই চেষ্টা করা হয়েছে। আর সেই মতোই তৈরি করা হয়েছে গ্রীষ্মের ছুটির এই রূপরেখা। এক্ষেত্রে কোন পড়ুয়া কোন বিষয় পছন্দ করে, সেটি মাথায় রেখেই নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হবে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এক এক ক্লাসের পড়ুয়াদের এক এক রকম কাজ দেওয়া হবে।
এই প্রোজেক্টগুলির মাধ্যমে চিরাচরিত শিক্ষার পাশাপাশি হাতে-কলমে কাজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন পড়ুয়ারা। প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষা নীতিতেও পড়ুয়াদের হাতেকলমে শিক্ষার উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে জাতীয় শিক্ষা নীতি চালুর বি।য়ে ভাবনা চিন্তা চলছে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই। এই আবহে কতকটা জাতীয় শিক্ষা নীতির পথ অনুসরণ করে পড়ুয়াদের বিকাশের জন্য এই নয়া প্রোজেক্ট চালু করা হয়েছে।
সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের কোনও বিজ্ঞান কেন্দ্র বা পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। স্কুল থেকে সেই কেন্দ্রের দূরত্ব হতে হবে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে। ওই কেন্দ্রে তারা যা শিখবে ও পর্যবেক্ষণ করবে, তার উপর নির্ভর করেই কাজ করতে হবে পড়ুয়াদের। দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, গ্রন্থাগার, কলেজ বা হস্তশিল্পকেন্দ্রে গিয়ে ৫ থেকে ৭ দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এই পর্যবেক্ষণ তাদের পেশাগত জীবনে সাহায্য করবে বলেই মনে করছে স্কুল শিক্ষা দফতর।