ফেব্রুয়ারি মাস তার বিদায় এর সাথে সাথে শীত কালের ও বিদায় ঘোষণা করে গিয়েছে ।আর মার্চ মাসের আগমনের কথা ভেবেই আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবাসী ।কারণ মার্চ মাস মানেই তো গরমের শুরু ।আর গরম শুধু একা আসে না ,সাথে লু,তাপপ্রবাহ ,সান স্ট্রোক ও সাথে নানান রোগ ও নিয়ে আসে । তাই গরমের আগমনে কেউ ই খুব একটা খুশি হয় না । তার ওপর আবার তাপের পারদ চড়তে চড়তে কখনো বা চল্লিশ এর ঘরেও পৌঁছে যায়।
তবে বাকি পাঁচ টা বছরের মার্চ মাসের থেকে এই বছরের মার্চ মাস ছিল অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক ।মানুষ জনের ভোগান্তি ও হয়েছে কম ।কারণ পুরো মার্চ মাস জুড়েই নেমেছে কখনো ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি বা কখনো অঝোর বারিধারা।তাই সেইভাবে গরমের টের পেতে হয়নি বঙ্গবাসী কে ।একদিন ও তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ায়নি মার্চ মাসে ।বরং মার্চ মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ,যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকেও কম ।সুন্দর মিষ্টি আবহাওয়া ই উপভোগ করেছেন সবাই ।
তবে মার্চ মাস শেষ হওয়ার পরেই উপস্থিত হয়েছে এপ্রিল ।আর এপ্রিল এর প্রথম দিন টি মোটামুটি স্বস্তি তে কাটলেও এরপর থেকে ধীরে ধীরে বঙ্গের উষ্ণতা বাড়তে থাকে ।তবে কি এবার চৈত্রেই তাপমাত্রা চল্লিশ পেরোবে ?
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর ,আর কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ পৌঁছাতে পারে ।রাজ্যের বীরভূম ,বাঁকুড়া ,পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান এর মত জেলাগুলো তীব্র গরমের স্বাক্ষী থাকবে ।
মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান , "আপাতত ঝড়-বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। জলীয় বাষ্প ঢোকার মতো কোনও পরিস্থিতি নেই। ফলে বাতাস শুকনো হয়ে যাচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আরও শুকনো, গরম হাওয়া ঢুকবে।" ফলত গরম আরো দ্রুত বাড়বে।এমন কি লু ও বইতে পারে ।তবে এখন ই লু বা তাপপ্রবাহ কবে থেকে শুরু হতে পারে সেই সম্পর্কে কোনো আভাস দেওয়া হয়নি ।
এর আগেও কয়েক বছর এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা চল্লিশ এর কাঁটা ছুঁইছুঁই করেছে ।গত বছর ২৫ এ এপ্রিল আলিপুর এর তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও তার আগের বছর ছিল ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।তবে দুই বছরেই দমদমের তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে গিয়েছিল ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর এর তথ্য অনুযায়ী আগামী ১০ মে নাগাদ কলকাতার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ পৌঁছতে পারে ও ১১-১২ মে তাপমাত্রা হবে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এরপর সেই তাপমাত্রা চল্লিশ এর কাছাকাছি ও পৌঁছে যাবে ।
তাই এখন থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অবহবিদ রা।বাইরে বেরোনোর সময় রোদের থেকে সুরক্ষা নিয়ে বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন তারা ।।