একনজরে ভোটের আগে বাজেটের লক্ষ্য

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

স্বাধীন ভারতের প্রথম বাজেট পেশ হয় ১৯৪৭ সালের ২৬ নভেম্বর। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আর কে সম্মুখম চেট্টি প্রস্তাব পাঠ করেন। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের সময় ছিল বিকেল ৫টায়। ঔপনিবেশিক ভারতের অভ্যাসমতো ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ কাজের দিন বাজেট পেশের রীতি ছিল। ব্রিটিশ আমল থেকে এই রীতি প্রচলনের কারণ হল, নয়াদিল্লি থেকে ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার-এর সময়ের তফাতের জন্য। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা বাজেট পেশের সময় বদল করে বেলা ১১টা করেন। তারপর থেকে এই সময়ই চলে আসছে। এই সময় পরিবর্তনের মূল কারণ হল, বাজেটের মতো দীর্ঘ ঘোষণা করার সময়, বিশ্লেষণ ও বিতর্কের অবসর পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে সরকার কর স্ল্যাবে ছাড়ের হার ২.৫ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করতে পারে। একইসঙ্গে, করদাতাদের সুবিধার্থে নতুন ট্যাক্স স্ল্যাব স্কিমে আগের চেয়ে আরও বেশি স্ল্যাব যুক্ত করা যেতে পারে বলেও বাজেট প্রস্তাবে আশা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের বাজেটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের বরাদ্দ হয়েছে ছিল ১৪ হাজার ২১৭.৪৬ কোটি টাকা। অতএব গতবারের তুলনায় এই বরাদ্দ ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বরাদ্দ বৃদ্ধি বেড়ে হল ৭৯ হাজার কোটি টাকা।ডিজিটাল ক্ষেত্রে প্যান কার্ডই হবে মূল পরিচয়পত্র। বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আগামী ৩ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে ৩৮ হাজার ৩৮০ শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করলেন নির্মলা সীতারামন। ৬৩ হাজার প্রাথমিক কৃষি ক্রেডিট সোসাইটিকে কম্পিউটারাইজড করা হবে। তৈরি হবে ডেটাবেস। এতে কৃষকরা উৎপাদনের সঠিক দাম পাবেন। নজর রাখবে সরকার। হস্তশিল্পের জন্য নয়া প্রকল্প আনা হচ্ছে। নাম হবে ‘পিএম বিকাশ’। এই শিল্পসামগ্রীর বিক্রির ব্যবস্থা করবে সরকার। ৫০টি নতুন বিমানবন্দর ও হেলিপ্যাড গড়ে তোলা হবে আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য। ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাঁদের আয় তাঁদের কোনও আয়কর দিতে হবে না। আয়করের ঊর্ধ্বসীমা ৫ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ৭ লক্ষ করা হল।বাজেটে দাম কমতে চলেছে মোবাইল এবং টিভি তৈরির যন্ত্রাংশের, ক্যামেরার লেন্সের,শিশুদের খেলনা এবং সাইকেলের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাজেটে আয়কর ছাড়ের কথা ঘোষনা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তবে এই ছাড়ের ফলে চাকুরিজীবীদের জন্য বা সাধারণ মানুষের কোন সুবিধা হবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের কথায় বিগত কয়েক বছরে যে হারে জিনিস পত্রে দাম বেড়েছে তার ফলে এই আয়কর ছাড় কোন প্রভাব পড়বে না। ভারতের মোট জন সংখ্যার কতো শতাংশ মানুষ আয়করের আওতায় পড়েন তার কোন পরিসংখ্যা এদিন রাখেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Tags:

Related News