চুলের যত্নে ক্যাস্টর অয়েলের গুরুত্বের কথা অনেকেই জানেন। নতুন চুল গজাতে কিংবা চুল পড়া বন্ধ করতে এই তেলের ভূমিকা বিস্তর। এই তেল উচ্চ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা মাথার ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ দূর করে। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুলে পুষ্টি জোগায়। চুলের যত্নে ক্যাস্টর অয়েল অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু, জানেন কী, এই তেল ব্যবহারের পদ্ধতি আর পাঁচটা তেলের মতো নয়। নিয়মিত তেল মালিশ করলে চুলের বৃদ্ধি হয়, দ্রুত বাড়ে। পাশাপাশি শক্তিশালীও হয়। মাথার ত্বকে গরম তেল মালিশ করার উপকারিতা অনস্বীকার্য। বলা যায় লম্বা চুলের এটাই মূলমন্ত্র।
মাথার ত্বকের সংক্রমণের কারণে দেখা দেয় চুল পড়া, খুশকি ও চুলকানির সমস্যা। এতে থাকা ব্যাক্টেরিয়া ও প্রদাহরোধী উপাদান মাথার ত্বকের সমস্যা দূর করে। এটা ফাঙ্গাসের বিস্তার কমায় ফলে মাথার ত্বক পরিষ্কার ও সংক্রমণমুক্ত থাকে।
তাছাড়া গরম তেল মালিশ মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে। নারিকেল, জলপাই, কাঠ বাদাম, আর্গন বা মরোক্কান তেলের সঙ্গে কয়েকফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। খুশকির সমস্যা থাকলে এতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি তেল মেশাতে পারেন।
ফ্যাকাশে হলুদ রঙের এই তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। এই তেল চুলের বৃদ্ধি ঘটায়, মাথার ত্বক ভালো রাখে এবং চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ এই তেল চুলে পুষ্টি সরবরাহ ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চুল পড়া কমায় ও গোড়া মজবুত করে।
শীতকালে আমাদের ত্বকের পাশাপাশি চুল ও রুক্ষ শুষ্ক হয়ে ওঠে। এই রুক্ষতা দুর করতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করলেই রুক্ষতা দুর হবে। এটি মাথার ত্বকের গভীরে গিয়ে শুষ্ক চুলের ফলিকলকে নরম করে। এই তেলে ওলিক এবং লিনোলিক অ্যাসিড রয়েছে যা স্ট্রেস, দূষণ এবং যত্নের অভাবের কারণে চুলের ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করে।
ক্যাস্টর অয়েল সপ্তাহে একবার বা দুইবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। এটি খুব কম পরিমাণে নেওয়া উচিত এবং নারকেল তেল বা জলপাই তেলের মতো তেলের সঙ্গে মেশানোর পরেই প্রয়োগ করা উচিত।
রুক্ষতার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ক্যাস্টর অয়েল। পাশাপাশি মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অন্যদিকে চুলের ফলিকলে কোনও ক্ষতি হলে তা মেরামত করে। এই কারণে দ্রুত বৃদ্ধি পায় আপনার চুল।
চুলের কালো রঙকে ধরে রাখতে সক্ষম এই তেল। শুধু মাথার চুল নয়, ভুরুর লোম ও চোখের পল্লবের ক্ষেত্রেও একই ভাবে কার্যকর এই তেল।
তবে বেশি তেল লাগাবেন না। ১৫ থেকে ২০ মিনিট তেল চুলে মেখে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভালো করে চুল শুকিয়ে নেবেন। চুল শুকোতে হেয়ার ড্রায়ার বা ওই ধরনের কিছু ব্যবহার করবেন না।