কোলকাতার বুকে সিএনজি রিফিলিং স্টেশন চালু হয়েছিল আগেই, সেই সাথে রাজ্যের বেশ কিছু জেলাতেও চালু হয়েছিল সিএনজি পাম্প। কথা ছিল আরও বেশ কিছু সিএনজি পাম্প তৈরি করার। সেই মতোই কাজও চলছে জোর কদমে। সরকারের লক্ষ্য এখন দূষণ বিহীন পরিবেশ। কিছু বছরের মধ্যেই পেট্রোল এবং ডিজেল চালিত গাড়ী তৈরি পুরোপুরিই বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। এতে শুধুমাত্র যে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে তা নয়, সিএনজি লক্ষ রাখে মানুষের পকেটেরও। কারণ পেট্রোল ডিজেল বা তরল পেট্রোলিয়ামের থেকে অনেক দাম কম সিএনজির।
সিএনজি এবার মিলবে মধ্যবিত্তের হেঁসেলও। কোলকাতা দুর্গাপুরের পরে এবার প্রাকৃতিক গ্যাস মিলবে হুগলির পান্ডুয়াতেও। তবে কোলকাতার বুকে প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকারের ওরিয়েন্টাল গ্যাস কোম্পানী প্রায় দেড়শ বছর আগে। কিন্ত ভারত স্বাধীন হওয়ার পর গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশন নামে পরিচিতি লাভ করে সেই কোম্পানি, তবে বর্তমানে বন্ধের মুখে সেই কোম্পানি।
আপাতত টেঙ্কারে করে কোল বেড মিথেন গ্যাস কোলকাতার সিএনজি স্টেশন গুলিতে পাঠানো হয়, এই পদ্ধতিতেই কলকাতার বেশ কিছু বড় ফ্ল্যাট বাড়িতে পাঠানো হবে সিএনজি গ্যাস। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর পর্যন্ত পাইপ লাইন তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে, ২০২৩ সালের মধ্যেই ধামড়া হলদিয়া পাইপ লাইনের কাজ শেষ হওয়ার কথা। শিল্পোৎপাদন থেকে শুরু করে গৃহস্থলির কাজেও ব্যবহার করা যাবে এই গ্যাস। কমবে জ্বালানির খরচ, দূষণের মাত্রাও অনেক কমবে। গোটা রাজ্যে পাইপ লাইন বসানোর লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সাল, তার জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি লগ্নি করা হয়েছে, কর্মসংস্থানের পরিমানও বাড়বে এর ফলে। ইতিমধ্যেই কোলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে রান্নার গ্যাস বা গাড়ির জ্বালানির জন্য বরাত পেয়েছে হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম এবং বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি।
প্রথম পর্যায়ে প্রায় দশ হাজার পরিবারকে রান্নার গ্যাস সরবরাহ করার লক্ষ্য রয়েছে গ্যাস যোগানকারি সংস্থা গুলির। তাদের মতে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালের মধ্যেই হুগলির পান্ডুয়ার প্রায় অধিকাংশ পরিবারকেই রান্নার জন্য সিএনজি গ্যাস দেওয়া সম্ভব হবে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই শ্রীরামপুরের কয়েক হাজার পরিবারকে কোল বেড মিথেন গ্যাস দেওয়া হবে। তবে গেলের পাইপ লাইনের উপরেই ভরসা রাখছে গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা।