জুতোর মধ্যে ভ্যাপসা গন্ধ এর সমস্যা প্রায় সারাবছর ই দেখা যায়।তবে শীতকালে এই সমস্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি হয়।কারণ শীতকালে চারপাশের পরিবেশ ঠান্ডা থাকে।তখন আমাদের শরীর বাইরের পরিবেশের সাথে উষ্ণতার সমতা বজায় রাখার জন্য শরীরের তাপকে ঘাম হিসেবে বাইরে বের করে দেয়।ফলে তলি পায়ে খুব পরিমাণে ঘাম দেয় এবং দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।এই দুর্গন্ধের কারণে আমাদের অন্যদের সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়তে হয়।কারোর সামনে জুতো খোলা যায়না।তাহলে জেনে নিন এই সমস্যার থেকে রেহাই পাবেন কিভাবে?
বহু ঘরোয়া টোটকা তেই হতে পারে সুরাহা।যেমন
° জুতো কে বায়ু চলাচল করে এমন জায়গায় খুলে রাখতে হবে।নাহলে বদ্ধ জায়গায় জুতোর গন্ধ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
° মাঝে মাঝে জুতো কে রোদে রাখলে জুতোর ব্যাক্টেরিয়া গুলি তাপে মারা যায় এবং জুতোর দুর্গন্ধ ও কমে।
° জুতো খুলে রাখার সময় এর মধ্যে যেকোনো লেবু - পাতি লেবু বা কমলা লেবুর খোসা রেখে দিতে হবে।আবার পরার সময় এগুলি সরিয়ে নিতে হবে।এতে জুতোর দুর্গন্ধ অনেকটা দূর হয়।
° জুতো কেনার সময় সঠিক মাপের জুতো কিনতে হবে।যাতে জুতো পরলে পায়ে কোনো অস্বস্তি না হয়।নাহলে সাইজ এ বড়ো বা ছোটো জুতো পরলে পায়ে অস্বস্তি বেশি হয় এবং ঘাম ও বেশি হয়।ফলে দুর্গন্ধ বেশি ছড়ায়।
° জুতোর মধ্যে বেকিং সোডা ছড়িয়ে রেখে দিন।জুতো পরার আগে ভালো করে ঝেড়ে পরে নিন,দুর্গন্ধ কমবে।
° টি ব্যাগ কে কিছুক্ষণ গরম জলে রাখুন।তারপরে এটি ঠান্ডা হতে দিন।এরপর এটি জুতোর মধ্যে রেখে দিন ।দুর্গন্ধ দূর হবে।
° জুতোর মধ্যে ভিনিগার ছড়িয়ে দিন বা জলে ভিনিগার মিশিয়ে টা দিয়ে জুতো ধুয়ে নিন ।রেহাই পাবেন।
° জুতো কেনার সময় জুতোর উপাদান বা ফেব্রিক দেখে কিনবেন।দেখে নেবেন যাতে জুতোর মধ্যে দিয়ে হাওয়া চলাচল করতে পারে।
° আধ ঘন্টা ধরে জলে চাল ভিজিয়ে রাখুন।তারপর ঐ চাল ধোয়া জলে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন।পায়ের দুর্গন্ধ দূর হবে।
°জুতোর ভেতর সোল এর নিচে তেজপাতা রাখলেও জুতোর দুর্গন্ধ দূর হয়।
°এছাড়াও সপ্তাহে এক বা দুদিন পায়ের পেডিকিওর করলে দুর্গন্ধ এর পরিমাণ কমে ।তবে ঘরেই পেডিকিওর করতে পারেন।ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে একটু লিকুইড সাবান নিন ও তার সাথে কিছু পরিমাণ অলিভ ওয়েল মেশান।অলিভ অয়েল না থাকলে যেকোনো বডি অয়েল মিশিয়ে নিন।তারপর ঐ জলে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন ।এরপর পা ধুয়ে মুছে নিন।এতে পা ভালো থাকে।পা এর ফাটার সম্ভাবনা কমে ।সাথে সাথে পা এর দুর্গন্ধ ও দূর হয়।।