সুন্দর ও ঝরঝরে ত্বকের জন্য বিশেষ কিছু পদ্ধতি

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

 সুন্দর ঝরঝরে ত্বক পাওয়ার ইচ্ছা সকলেরই থাকে। তবে এই সুন্দর , কোমল ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার। বিশেষত ঘুমোতে যাওয়ার আগে ও সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই আমাদের ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার। এতে ত্বক সুস্থ ও সতেজ থাকে।

পৃথিবীতে এমন মানুষ খুব কমই আছেন যাঁরা সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হন না। আর এই সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট বজায় রাখার জন্য সরকার ত্বকের যত্ন। বিশেষ করে শীতকালে, সতেজ ও কোমল ত্বকের জন্য দরকার খুব ভালো যত্ন। তবে শুধু ত্বকের যত্ন নয় , সাথে থাকতে হবে স্বাস্থ্যকর জীবনচর্যা। তবে কী ভাবে তা সম্ভব সে বিষয়ে অনেকেই সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নন। জেনে নেওয়া যাক ত্বকের যত্ন ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার সঠিক পদ্ধতি - 

১. ত্বক পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ :
রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই ত্বক পরিষ্কার করা খুবই জরুরী। এটি ত্বককে সতেজ করে ও গভীর ভাবে পরিষ্কার করে। ত্বক শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পায়। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের পার্থক্য বোঝা যায়। এটি আমাদের স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করে। একটি ফেসিয়াল ক্লিনজার ত্বক থেকে সমস্ত ধরণের নোংরা দূর করে, ত্বকের রোমকূপগুলি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফলে ব্রণ, ফুসকুড়ির মতো সমস্যা সমাধান হয় ভালোই। ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ডিহাইড্রেশন ও শুষ্ক ত্বকের সমস্যা অকাল বার্ধক্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

২. সানস্ক্রিনের ব্যাবহার : 
ত্বকের ক্লিনজার ব্যাবহারের পাশাপাশি সানস্ক্রিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ত্বকের সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন সানস্ক্রিন করা উচিত। এটি আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে পারে।  শীতকালেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা দরকার। সূর্যের এই ক্ষতিকারক রশ্মি মেঘ, বৃষ্টি ও কুয়াশার মধ্য দিয়ে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

৩. সুষম খাদ্য গ্রহণ :
 সুষম খাদ্য যেকোনো মানুষের শরীরে সঠিক পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন ও পুষ্টি প্রদান করে । এতে শরীর ও মন সুস্থ থাকতে পারে। যা একটি সুখী এবং উজ্জ্বল ত্বকের রহস্য হয়ে থাকে। ত্বকের যত্নের জন্য বাজারে বিক্রি হওয়া নিজের পছন্দের স্কিনকেয়ার পণ্য বেছে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু শুধু স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টই নয় , সুষম খাদ্য সুন্দর ত্বকের অন্যতম কারণ।

৪. ধূমপান বর্জন করা :
ধূমপানের ফলে ত্বকে অক্সিজেন ও পুষ্টির ঘাটতি হয়ে থাকে। ফলে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায় ও ত্বকের ভারসাম্যের অভাব হতে পারে। প্রত্যেক মানুষেরই একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে বলিরেখা তৈরি হয়, কিন্তু অতিরিক্ত ধূমপান করা ব্যাক্তিদের বয়সেই আগেই বলিরেখা তৈরি হওয়ার প্রবণতা থাকে। ধূমপান ত্বককে ডিহাইড্রেট করে থাকে, যার ফলে ত্বক নিস্তেজ ও অস্বাস্থ্যকর হয়।

৫. পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার :
ঘুম স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব জরুরি। প্রতিটি মানুষকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো দরকার। কারণ আমরা যখনই সম্পূর্ণ বিশ্রাম করি তখনই আমাদের ত্বকে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বকের ঔজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়। ঘুমের অভাব আমাদের ত্বককে প্রাণহীন করে তুলতে পারে। আমাদের মুখের চারপাশের ত্বকে রক্ত চলাচল কমে যায়। চিকিৎসকদের মতে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল্য ত্বকের জন্য অন্ততপক্ষে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুম জরুরী।

৬. জল পানের গুরুত্ব :
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। শুধু ত্বক নয় , শরীর সুস্থ রাখতেও জল পান করা দরকার। পরিমাণ মতো জল পান না করলে আমাদের ত্বকের জৌলুস হ্রাস পেতে পারে, ত্বক রুক্ষ হতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পানের ফলে আমাদের শরীরে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, ফলে ত্বক স্বাস্থ্যকর দেখায়। ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করে। প্রচুর পরিমাণে জল পান করলে ত্বকের হাইড্রেশন হয়।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Papri Chakraborty

Related News