রাস্তা চুরির দায়ে বাস মালিককে দু'লক্ষ টাকার জরিমানা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। জরিমানার টাকা না দিলে গ্রেফতারির নির্দেশ বিচারপতির। নোট চুরি বা গাড়ি চুরি নয়, মহানগরীর বুকে একেবারে রাস্তা চুরির অভিযোগ উঠল এক বাস মালিকের উপর। সূত্রের খবর রুট পারমিট চুরি করে ধর্মতলা-পুরুলিয়া রুটে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল দুটি বাস। শিবনাথ বন্দোপাধ্যায়-র মালিকানাধীন ওই দুটি বাসকে শনিবারের মধ্যে পুলিশি হেফাজতে নিতে নির্দেশ দিলেন কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা যায় রুট পারমিট চুরি করে WB 55A3636 এবং WB 55A3838 বাস দুটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করতো ধর্মতলা-পুরুলিয়া রুটে। যার জন্য পরিবহন দফতরের পক্ষ থেকে বাস দুটিকে বহুবার জরিমানা করা হয়। ২০২০ সালের ১৫ ই ডিসেম্বর খোদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই দুটি বাস চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তারপরও আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি চলাচল করত শিবনাথ বন্দোপাধ্যায় এর ওই দুটি বাস। দিন কয়েক আগে আদালত অবমাননার দায়ে শিবনাথ এর উপর মামলা করেন আলপনা হালদার নামক এক ব্যক্তি। আলপনা পুরানো পারমিটের দুটি বাস চালান। আলপনার অভিযোগ শিবনাথের কাছে বৈধ কাগজ না থাকলেও তার দুটি বাস ধর্মতলা-পুরুলিয়া রুটে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করে। কিন্তু ওই বাস দুটির চলার কথা করুণাময়ী-ঝালদা রুটে। এরপরই শিবনাথ কে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে শিবনাথ জানায় ওই দুটি বাস তিনি সাধন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় নামক দুই ব্যক্তিকে মোক্তারনামা দিয়েছেন।এদিকে আলপনা হালদারের আইনজীবীর দাবি পরিবহন আইন অনুযায়ী রুট পারমিট কখনোই হস্তান্তরযোগ্য নয়। পরক্ষণেই আদালত নির্দেশ অবমাননার দায়ে এবং রুট পারমিট চুরি করে দীর্ঘদিন বাস চালানোর দায়ে তাকে জেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদালতের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক কে ডেকে পাঠান বিচারপতি। আদালত কক্ষেই ভেঙে পড়েন শিবনাথ বন্দোপাধ্যায়। শিবনাথের আইনজীবীর অনুরোধে শেষপর্যন্ত মত বদলান বিচারপতি। এরপর আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে শিবনাথ কে দু'লক্ষ টাকার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যথায় তাকে জেলের ভিতরে যেতে হতে পারে বলে সাফ জানিয়ে দেন বিচারপতি। উক্ত মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ শে সেপ্টেম্বর।