গত বছর ২০২০ তে ব্যালন ডিওর অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণে এ বছরের ২০২১ সালের ব্যালন ডিওর অনুষ্ঠানের জন্য একটু বেশি উৎসাহ ছিল সকল ফুটবল প্রেমীদের। ভারতীয় সময়ে গতকাল রাতে, ফ্রান্সের শহর প্যারিসে ব্যালন ডিওর ২০২১ অনুষ্ঠিত হয়, কাল সেখানে উপস্থিত ছিলেন লেওয়ান্ডোস্কি, হলেন্ড, এম্বাপের মত নামকরা উজ্জ্বল তারকারা। এই বছর ব্যালন ডিওর পাওয়ার তালিকায় ছিলেন যথাক্রমে লিও মেসি, রবার্ট লেওয়ান্ডোস্কি, জর্জিনহ, করিম বেনজেমার, এনগলো কান্তে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোরা।
ব্যালন ডিওর দেওয়া হয় প্রত্যেক বছরের সেরার সেরা খেলোয়াড় কে, এবছর ব্যালন ডিওর হাতে শেষ হাসি হাসলেন লিও মেসি। এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড তারকা এই নিয়ে ৭ বার ব্যালন ডিওর পেলেন, কেনো তাঁকে পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় বলা হয় তা তিনি আবারও প্রমাণ করে দিলেন। সব থেকে বেশি ব্যালন ডিওর পেয়েছেন মেসি(৭) ও রোনাল্ডো(৫), এই বছর ব্যালন ডিওর পাওয়ার দৌড়ে মেসির সাথে ছিলেন পোল্যান্ডের তারকা রবার্ট লেওয়ান্ডোস্কি, তার নাম টি রানার-আপ হিসেবেই থাকলো।
এই বছর লিও মেসির ব্যালন ডিওর পাওয়ার মূল কারণ টি হলো এই বছর প্রথমবারের জন্য মেসি দেশের হয়ে কোপা আমেরিকা পান, এটি তার প্রথম ইন্টারন্যাশনাল ট্রফি, যদিও তাঁর ক্লাব এবং দেশের হয়ে খেলার রেকর্ড অত্যন্ত ভালো, তাই এই পুরস্কারটি তার প্রাপ্য ছিল। এই বছর কোপা আমেরিকা জয়ের সাথে সাথে মেসি সেই ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্টের বেস্ট প্লেয়ার, টপ স্কোরার হয়েছেন, তাঁর গোলের সংখ্যা ৪টি। এই বছর এপ্রিল মাসে তিনি বার্সেলোনাকে কোপা ডেল রের মুকুটটি আবার পরিয়ে দেন। গত মরসুমে মেসির লা লিগায় গোলের সংখ্যা ছিল ৩০ টি, এসিস্ট ছিল ৯ টি, যদিও তার পর তিনি বার্সেলোনায় থাকতে পারেননি, বার্সেলোনার অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য তিনি বার্সেলোনা ছেড়ে ফ্রান্সের প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন এ যেতে বাধ্য হন।
এই মরসুমেও আসা করা যায় মেসি পিএসজির হয়ে আবারো সেই দুর্বার গতিতে ফিরে আসবেন, এই মরশুমে সদ্য যোগ দেওয়ার কারণে তার এই দলের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে সময় লাগলেও খুব তাড়াতাড়িই তিনি আবারও ফিরে আসবেন। এবারের চ্যাম্পিয়ন লীগ জেতার মূল দাবিদার পিএসজি-ই, এই বছর যদি পিএসজি চ্যাম্পিয়ন হয় তবে লিও মেসির মুকুটে আরো একটি শিরোপার পালক যুক্ত হবে, যা তাকে পরের বছর ব্যালন ডি'অর পেতে সাহায্য করবে।
গতকাল বার্সেলোনার যুব সপ্রতিভ খেলোয়াড় পেড্রি পেয়েছেন কোপা ট্রফি, এই পেড্রির খেলায় মেতেছে বার্সেলোনা সমর্থক থেকে সমগ্র স্পেনের ফুটবলপ্রেমীরা। ফুটবল বিশেষজ্ঞরা এই মিডফিল্ডারের মধ্যেই অতীতের জাভির খেলার সাথে অনেক মিল পান, এবং অনেকে তাকে ভবিষ্যতের জাভি বলেও আখ্যা দিয়ে ফেলেছেন।
মহিলাদের ব্যালন ডিওর পেয়েছেন বার্সেলোনার মহিলা দলের খেলোয়াড় আলেক্সিয়া পুতেলাস, ইনিও একজন মিডফিল্ডার। ১৯৬০ সালের পর স্পেনীয় মহিলা ফুটবলার হিসাবে আজ তিনি ব্যালন ডিওর যেতেন। পুতেলাস গত মরশুমে বার্সেলোনার হয়ে ২৬ টি গোল দেন।
এবং গোলকিপারদের ইয়াসিন ট্রফি পেয়েছেন গ্লানলুইগি ডোনারুম্মা। তিনি এ বছর ইউরো ২০২০ তে দারুন ফর্মে ছিলেন, তিনি ইউরোর বেস্ট গোলকিপার পুরস্কারটি ও পান।
এই বছর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার দরুন এবার বেস্ট ক্লাবের শিরোপা পেয়েছে চেলসি।
মেসি এবং রোনাল্ডোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা চিরকালের, এই প্রথমবার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ২০১০ সালের পর থেকে এই প্রথম বার তিনি ব্যালন ডি'অর জয়ের তালিকায় ৬ নম্বরে থাকেন।