#Pravati Sangbad Digital Desk:
জৈষ্ঠ পূর্ণিমার দিন পালিত হয় স্নান যাত্রা উৎসব। স্কন্দপুরাণে আছে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন কাঠের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জগন্নাথদেবের জন্য তখন থেকেই পালিত হয় স্নানযাত্রা। জগন্নাথ দেব পূজিত হন নারায়ন হিসাবে। জগন্নাথ নামের অর্থ জগতের ঈশ্বর। স্নানযাত্রা জগন্নাথ দেবের জন্মতিথি হিসেবে পালন করা হয়। স্নান যাত্রার আগে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা কে আবৃত করা হয় রেশমি বসন দিয়ে। স্নানযাত্রা দিনেই জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার জন্য তৈরি বিশেষ বেদিতে তাদের আনা হয়। স্নান বেদি হিসেবে পরিচিত এই বেদি কে বিশেষভাবে পুজো করা হয়। 108 টি জলভর্তি ঘড়া দিয়ে বিগ্রহের অভিষেক সম্পন্ন করা হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের এই পূর্ণিমাতে স্নানযাত্রা হওয়ার পর আষাঢ় মাসের অমাবস্যা পর্যন্ত জগন্নাথ দেবের নিত্যপুজা হলেও সাধারণ মানুষের থেকে দূরে রাখা হয়। কথিত আছে স্নান যাত্রার পর নাকি জগন্নাথদেবের জ্বর আসে এবং সেই কারণেই তিনি বিশ্রামে থাকেন পরবর্তী 15 দিন অর্থাৎ রথ যাত্রার আগে পর্যন্ত। স্নান যাত্রার পরে আষাঢ় মাসে রথ যাত্রার দিনে আবারো নব সাজে রাজবেশী জগন্নাথ দেবকে সবার সামনে আনা হয়। এবং রথযাত্রা দিন 15 দিন পরে নেত্র উৎসব পালিত হয় যাতে জগন্নাথ দেবের নয়ন খোলে বলে মনে করা হয়। স্কন্দপুরাণে উল্লেখিত আছে, জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি অর্থাৎ গুন্ডিচা মন্দির যেসব ভক্তগণ জগন্নাথ দেবের শ্রী বিগ্রহ দর্শন করেন অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান পুণ্য ফল অর্জন করে এবং গুন্ডিচা মন্দির অর্থাৎ পুরী কে মর্তের বৈকুণ্ঠ বলা হয়। এরই সাথে এই বিশেষ স্নান যাত্রা দর্শন যেকোনো তীর্থস্নান এর থেকেও 100 গুন বেশি ফল দেয় ঋষি জৈমিনির কথা অনুসারে।