প্রাচীন ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দেউলঘাটার কালো দুর্গার মন্দির

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

পুরুলিয়া শহর থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে কংসাবতী নদীর তীরে পুরুলিয়ার অন্যতম জঙ্গলঘেরা তীর্থ নগরী দেউলঘাটা। যার ইতিহাস আজও ঝাপসা কাচের মত। আয়ু কমছে দ্রুত। ফিকে হচ্ছে জৌলুস। কিন্তু স্মৃতি বইছে যে স্থাপত্য, তা অন্তত অটুট। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে কংশাবতীর তীরে ষাট ফুট উঁচু পোড়া মাটির মন্দির। একটা সময়ে তিনটি মন্দির ছিল। দু’হাজার সালে ভেঙে যায় একটি। তারপর থেকে কোনওরকমে অস্তিত্ব টিকিয়ে দাঁড়িয়ে দেউলঘাটার ইতিহাস। মন্দির নিয়ে বহু গল্প। কেউ বলেন, ধর্ম প্রচার করতে মন্দির তৈরি করেন জৈনরা। কারও মতে বৌদ্ধদের আদল আছে মন্দিরে। মন্দিরের ভিতর মিলেছে কালো পাথরের দশভূজা। এখানের প্রাচীন দু’টি হিন্দু মন্দিরের বয়স দু’হাজার পেরিয়েছে কেউ কেউ আবার জৈন মন্দির বলেও জানেন। একটা সময় সংস্কার শুরু হলেও, মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দেয় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আরও জরাজীর্ণ পুরুলিয়ার জয়পুর ব্লকের দেউলঘাটা মন্দির। নিত্য পুজোর সাথে সাথে দুর্গাপূজোর কটাদিন সামর্থমত পুজোর আয়োজন হয় এখানে। হয় ছাগ বলিও। স্থানীয় মানুষজন সারা বছর ধরে কাজের টানে এদিক ওদিক থাকলেও পুজোর সময় আসেন এখানে। স্থানীয় পূজারিণী মিঠু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি পাল আমলের দুর্গা। কংসাবতীরর তীরে জঙ্গলঘেরা এই দুর্গার পুরাতত্বের ইতিহাস অবশ্য তেমনভাবে জানা নেই কারও। গত ৪০ বছর ধরে এখানে থাকেন মিঠু মুখোপাধ্যায়। একসময় কোন এক সাধকের হাত ধরেই তিনি এখানে আসেন। তিনি এই মন্দিরে নিয়মিত পুজো করেন। ভারতবর্ষের সবথেকে প্রাচীন দুর্গা,পাল আমলের কালো পাথরের দুর্গা। আজও পুজো হয় নিয়ম মেনে পুরুলিয়ার দেউলঘাটাতে। বহু প্রাচীন কালো পাথরের দশভূজা মূর্তি। ডান পা মহিষাসুরের উপর। পুরুলিয়া আড়ষা ব্লকের দেউলঘাটা হিন্দু মন্দিরের কালো পাথরের দশভূজার ইতিহাস এখনও মলিন হয়নি এতটুকু।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Ashapurna Das Adhikary

Tags: