#Pravati Sangbad Digital Desk:
গ্যাসের দাম হাজার পার করেছে, পেট্রোল-ডিজেলের দাম উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে, সবজির বাজারে ঢুকলেও আকাশছোঁয়া দাম এর পাহাড় এবার মাছে-ভাতে বাঙালির প্রিয়তম খাদ্যটার মূল্যও আগুন ছোঁয়া। তবেই অন্যান্য জিনিসের মত এক টাকা দু টাকা নয় একেবারে দাম বেড়েছে কুড়ি থেকে ত্রিশ শতাংশ। তার কারণ কিন্তু পেট্রোল-ডিজেলের আকাশছোঁয়া দাম। কারণ অধিকাংশ মাছই আসে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফলে পরিবহন ব্যবস্থায় কোপ পড়ায় সেই মাছ আসার পথ সীমিত হয়ে গেছে। পেট্রোল-ডিজেলের উভয়ের দামই ১০০ টাকা পার করে ফেলেছে ফলে এই প্রভাব সরাসরি এসে পড়েছে পাইকারি মাছের বাজারে। মৎস্য ব্যবসায়ীদের মতে উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশ থেকে যেসব মাছ আসে তারা কম দামে মাছ পাঠাতে চাইছেন না কিছুতেই।
হাওড়ার ফিশ মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে এত দাম বাড়ার ফলে ক্রেতারা বাজার থেকে বিমুখ হয়ে পড়ছে। হাওড়ার এক পাইকারি মাছ বিক্রেতা জানান আগে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ২০-৩৫ ট্রাক মাছ আসতো এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫-২০ ট্রাক। মাছের যোগান কম থাকায় অনেকেই মাছ কিনছেনা।
রুই মাছ পাওয়া যেত ১৩০ এ যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা। পাবদা মাছ পাইকারি বাজারে কেনা পড়তো ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দামের এখন যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকাতে। ট্যাংরা মাছের দাম ছিল ২৭০ টাকা যার দাম বেড়ে হয়েছে ৩০০ টাকা। ভেটকি মাছের বর্তমান দাম হয়েছে ৫০০ টাকা এতদিন পর্যন্ত যা ৪০০ টাকা ছিল। ১৫০ টাকা দরের আর মাছের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। এগুলো সবই পাইকারি বাজারের দর অনুযায়ী খুচরা বিক্রেতারা এর থেকে কম করে হলেও ৫০ বা ১০০ টাকা বেশি তে মাছ বিক্রি করে থাকে ফলে বাঙালির মাছের পাতেও এবার টান ধরতে বসেছে।
তবে আশাপ্রদ ব্যাপার এই যে , এর একটি সমাধান আশু প্রয়োজন যা রয়েছে আমাদের করায়ত্তেই,যে কোন পাড়া ,এলাকা,শহর, শহরতলি জুড়ে অস্তিত্ব রাখে প্রচুর পুষ্করিণী, জলাশয়, জলাধার যার অপব্যাবহার পৌঁছেছে চূড়ান্ত পর্যায়ে ; আবর্জনা, প্লাস্টিক দূষণ ইত্যাদি ঋণাত্মক কার্যকলাপে ভরে উঠছে পুকুর ও জলাশয়গুলি। সেখানে প্রতিটি জায়গায় যদি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করে মৎস্যজীবীদের নিয়োগ করা যায় এবং মাছ চাষ শুরু করা যায়,তাহলে বহু সমস্যার সমাধান ঘটবে। হবে কর্মসংস্থান, পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছের চাষ,খাদ্যসঙ্কট এড়ানো যাবে এবং মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের সংকুলানে থাকবে মৎস্যভাণ্ডার । তবে তার জন্য উদ্যোগী হতে হবে আমাদের জনগণকেই। সরকার সক্রিয় হবে মূল্যহ্রাসের সপক্ষে যদি জনগণ সোচ্চার হয়।