#কলকাতা:
বিজেপি ছেড়ে বাবুল সুপ্রিয় যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর হটস্পট ভবানীপুরের উপ নির্বাচন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যিনি লড়ছেন সেই প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের রাজনীতিতে প্রবেশ বাবুল সুপ্রিয়র হাত ধরেই৷ এমনকি ভোটে দাঁড়ানোর পর বাবুলকে প্রচারে আসার জন্য তিনি আবেদনও জানিয়েছিলেন৷ বিজেপির তরফেও প্রচারের লিস্টে নাম রাখা হয়েছিল বাবুলের৷ স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ‘ঘর পুড়ছে’ – এই আন্দাজটাই কি পাননি গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বরা? কারণ, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মোদী-শাহের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ৷ ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি।
উল্লেখ্য
তৃণমূলে যোগ দিয়ে ভবানীপুরে
প্রচার প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে বাবুলকে
লাগে না তবে দল
বললে যাবো।" এক পক্ষ কালও বাকি
নেই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে। সেখানে বাবুল সুপ্রিয় ঘনিষ্ঠ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। তাঁকে শুভেচ্ছাও জানান বাবুল। কিন্তু তারপর বিনা মেঘে বজ্রপাতের
মতে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিলেন। অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তিনি
তৃণমূলে যোগ দেন। সব
জল্পনার অবসান ঘটে এই যোগদানে।
“বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে
চেয়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সেই সুযোগ দিলেন।
মন থেকে রাজনীতি ছেড়েছিলাম।
হঠাৎ একটা সুযোগ পেলাম।
সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।”
সাংসদ-মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে তাঁর হারের পর
থেকেই তিনি বিজেপিতে কোণঠাসা
হতে শুরু করেন। মোদী-ঘনিষ্ঠ বাবুল সুপ্রিয় প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো মানতে
পারেননি বাবুল সুপ্রিয়। বিজেপিতে তিনি ভালো ছিলেন
না।
‘‘মত
পরিবর্তনের জন্য আমি গর্বিত!
আমার সামনে যে সুযোগ এসেছে
তা আমি গ্রহণ করেছি!’’
রাজনৈতিক
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিজেপিতে
তাঁরা ভালো না থাকা
থেকেই রাজনীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়া। তিনি
তাই অনেক ভেবেই দীর্ঘ
ফেসবুক পোস্টে লেখেন রাজনীতি ছাড়ার কথা। তারপর সাংসদ
পদ থেকেও তিনি ইস্তফা দেওয়ার
ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু পরে বিজেপির সর্বভারতীয়
সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে
বৈঠকের পর মত পরিবর্তন
করে সাংসদ থেকে যান।
ভবানীপুর
উপনির্বাচন প্রাক্কালে তিনি যোগ দিলেন
তৃণমূল কংগ্রেসে। বিনা মেঘে বজ্রপাত
হল গেরুয়া শিবিরে। বিজেপি কল্পনাও করতে পারেনি এত
বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে
বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। গোপনীয়তা বজায় রেখেই তৃণমূল
যোগদান করাল বাবুল সুপ্রিয়কে।
রাজনৈতিক
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাবুল
সুপ্রিয় বিজেপির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে রাজনীতি ছাড়তে
চেয়েছিলেন। কিন্তু বিগত দেড়মাসে তিনি
উপলব্ধি করেছেন রাজনীতি থেকে দূরে গিয়ে
সাংসদ হিসেবে কাজ করা যায়
না। আবার বিজেপিতেও তাঁর
কাজ করার ক্ষেত্র নেই।
বঙ্গ বিজেপিতে তিনি একধারে, আবার
কেন্দ্রীয়ভাবেও তাঁকে দূরে সরিয়ে দেওয়া
হয়েছে। তাই রাজনৈতিক গুরুত্ব
পেতে তিনি তৃণমূলে যোগ
দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বিশেষ
করে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে তৃণমূল টানা
তিনবার ক্ষমতায় আসার পরে বিজেপিতে
এতবড় ভাঙন গেরুয়া শিবিরের
কাছে বড় ধাক্কা। ২০১৪-য় দেশে নরেন্দ্র
মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি এসেছিল ক্ষমতায়। তখন বাংলা থেকে
একমাত্র বিজেপির সংসদ-প্রতিনিধি ছিলেন
বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর বিজেপি ছেড়ে
তৃণমূলে চলে যাওয়া আরও
বড় ভাঙনের ইঙ্গিত বলেই মনে করছে
রাজনৈতিক মহল।
রাজনীতির
আঙিনায় উল্কার গতিতে উত্থান বাবুল সুপ্রিয়র। ৭ বছরের রাজনৈতিক
জীবন কম বর্ণময় নয়।
প্রথমে বিজেপি। তারপর শনিবার তিনি আচমকাই নাম
লিখিয়ে ফেলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Abhinaba Poddar