রানের পাহাড় গড়েও ম্যাচ অধরা আরসিবির

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

তাঁর ক্যাবিনেটে এখনও পর্যন্ত আইপিএল ট্রফি নেই। তবে এ বারের আইপিএল খেলতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর জার্সিতে অনন্য রেকর্ড গড়লেন বিরাট কোহলি। ১৫ মরসুম টানা একটা দলের খেলার নজির আর কোনও ক্রিকেটারের নেই। এছাড়া আরসিবি-র হয়ে ২০৮তম ম্যাচে ২০০তম ইনিংস খেলে ফেললেন 'কিং কোহলি'। 
রবিবার ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল আরসিবি। দলের হয়ে ২০০তম ইনিংসে ২৯ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট। এই ইনিংসে মারলেন ১টি চার ও ২টি ছয়। এক আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে এত ইনিংস আর কোনও ক্রিকেটার খেলেননি। এই বিষয়ে বিরাটের আশেপাশেও অন্য কোনও ক্রিকেটার নেই। বিরাটের পর এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সুরেশ রায়না। এই বাঁহাতি ব্যাটার চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মোট ১৭১টি ইনিংসে ব্যাট হাতে ক্রিজে নেমেছেন। 
এদিনে ফ্যাফ ডু প্লেসিস, বিরাট কোহলি এবং শেষ দিকে দীনেশ কার্তিক মারমুখী মেজাজে দলের রানকে ২০৫-এ নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বিপক্ষের শাহরুখ খান যেন তাঁর 'আইডল'-এর সেই চেনা ডায়ালগ শুনিয়েই মাঠে নেমেছিলেন। তাঁর ব্যাট যেন বারবার বলছিল, 'পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত'। স্কোরবোর্ডে দুশোর উপর রান তুলেও হেরে গেল আরসিবি। রবিবার পঞ্জাব কিংস তাদের হারিয়ে দিল ৫ উইকেটে। ফ্যাফ ডু প্লেসি, বিরাট ভাল খেলা সত্ত্বেও শেষ হাসি পঞ্জাবের। একার হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন ভানুকা রাজাপক্ষ ও শেষ দিকে শাহরুখ। রানের পাহাড় কাঁধে নিয়ে শুরুটা মন্দ করেনি প্রীতি জিন্টার পঞ্জাব। সুপার সানডের মেগা ম্যাচে দর্শকদের নজর ছিল শিখর ধাওয়ানের দিকে। প্রথমে মায়াঙ্ক (৩২) ও ভানুকা রাজাপক্ষের (৪৩) সঙ্গে জুটি বেঁধে ভালই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। হর্ষল প্যাটেলের ডেলিভারিতে অনুজ রাওয়াতের হাতে ক্যাচ তুলে ৪৩ রানে ফেরেন তিনি। তবে আকাশ দীপ, মহম্মদ সিরাজদের তাণ্ডবে চাপে পড়ে যান মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। শেষে শাহরুখ খান ও স্মিথের জুটিতেই ঘুরে দাঁড়ায় পঞ্জাব। 

একের পর এক চার ছক্কা হাঁকিয়ে জয় পকেটে ভরে ফেলে প্রীতির দল। রবিবার টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক ময়ঙ্ক। আরসিবি-র হয়ে ওপেন করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেননি ফ্যাফ ডু প্লেসি এবং অনুজ রাওয়ত। প্রথম উইকেটে ৫০ উঠে যায়। ব্যক্তিগত ২১ রানে রাওয়ত ফেরার পর আর রোখা যায়নি আরসিবি-কে।
দ্বিতীয় উইকেটে বিরাট ও ফ্যাফ ১১৮ রান যোগ করেন। তবে এই জুটিতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ডুপ্লেসিই। তিনি ৫৭ বলে ৮৮ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন। তবে আরসিবি যে দুশো পেরল,এর পিছনে মূল কৃতিত্ব দীনেশ কার্তিকেরই। কলকাতায় হয়ে খেলে গত মরসুমে খুব বেশি সাফল্য পাননি। ১৪ বলে তাঁর অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংসে রয়েছে তিনটি চার এবং তিনটি ছয়। বিরাট ২৯ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকলেন। নির্ধারিত ওভারে ২০৫ রান তোলে আরসিবি।
মনে করা হয়েছিল বিপক্ষের বিপুল রান পঞ্জাবকে চাপে ফেলবে। তবে ময়ঙ্ক এবং শিখর ধওয়ানের ওপেনিং দেখে সেটা বোঝা যায়নি। প্রথম উইকেটে উঠল ৭১ রান। ময়ঙ্ক ফেরার পর ভাল খেলছিলেন গব্বর। কিন্তু ২৯ বলে ৪৩ রান করে ফিরে যান তিনি। এর পরেই নামেন ভানুকা রাজাপক্ষ। প্রথম ম্যাচেই চারটি বিশাল ছক্কার সাহায্যে ২২ বলে ৪৩ করলেন। টার্গেট করলেন স্বদেশীয় বোলার ওয়ানিন্দু হসরঙ্গকে। তিনি ২২ বলে ৪৩ রানে ফিরলেন। তবে আউট হওয়ার আগে কিন্তু জয়ের ভিত তৈরি করে যান। বাকি কাজটা সারলেন শাহরুখ খান এবং ওডিন স্মিথ। শাহরুখ ২০ বলে ২৪ ও ওডিন স্মিথ ৮ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থেকে পঞ্জাবকে দুই পয়েন্ট দিয়ে মাঠ ছাড়লেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ২০৫/২ (ডু প্লেসিস-৮৮, কোহলি-৪১*)
পাঞ্জাব কিংস: ২০৮/৫ (ধাওয়ান-৪৩, ভানুকা-৪৩, শাহরুখ -২৪*)

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Avijit Das

Related News