নানারকম অনুষ্ঠানে মেতে উঠেছে এই বছরের ৪৫তম কলকাতা বইমেলা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

আমরা ৩শরা মার্চ, চতুর্থ দিন পৌঁছে গিয়েছিলাম বইমেলা প্রাঙ্গণে। যেটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে। আর এবার থেকে এই সেন্ট্রাল পার্ক “বইমেলা প্রাঙ্গণ” নামে পরিচিত হবে। প্রতি বছর এখানেই “কলকাতা বইমেলা” হবে। বইমেলার মধ্যে নাচ-গান, আঁকা ছবি ফুটে উঠেছে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে। কিছু বুক স্টলে যেমন রয়েছে ছোটদের জন্য অসংখ্য গল্প, ছড়ার বই, ইত্যাদি তেমনি রয়েছে অন্যান্য  স্টলে বড়দের জন্য প্রেমের গল্প, দুঃখের গল্প, অভিমানের গল্প সবকিছু মিলে একটা অন্য রকম পরিবেশ তুলে ধরেছে এবছরের বই মেলা। অসংখ্য দুষ্প্রাপ্য বই পেয়ে যেতে পারেন এই বইমেলায়। তার সাথে চমকপ্রদ সমস্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এবছরের বই মেলায়।

বাউল থেকে শুরু করে ছোটদের নাচ, আবৃত্তির আলাদাভাবে তৈরি করা হয়েছে মুক্ত মঞ্চ। এই মুক্ত মঞ্চ উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয়কে। তাছাড়া হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের কুটির শিল্প জাত দ্রব্য যেমন ব্যাগ, মাটির তৈরি মূর্তি থেকে শুরু করে মাটির গয়না শাড়ি সমস্ত কিছুই পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায়।
তার সাথে চলছে নানা রকমের সেমিনার। যেহেতু এবছরের কলকাতা বইমেলার থিম বাংলাদেশ, তাই শুধু ভারতে না বাংলাদেশও এসে তুলে ধরেছেন তাদের সংস্কৃতি। ভারত ও বাংলাদেশের যুগলবন্দি গড়ে উঠেছে এবছরের ৪৫তম কলকাতা বই মেলায়। “প্রভাতী সংবাদ” পেয়ে গেছিল  প্রখ্যাত নাট্যকার ও লেখক তপন জ্যোতি ও চিত্রকর তাপস কোনালের পুস্তক উদ্বোধনী সেমিনারে যাওয়ার সুযোগ। চিত্র ও কবিতার মেলবন্ধনে গড়ে তুলেছেন এক অপরূপ কীর্তি, যার নাম দিয়েছেন "চাঁদের সাথে অবেলায়"। সেখানে আমরা কথা বললাম লেখক তপন জ্যোতি মহাশয় এর সাথে। তিনি বলেন,"আমাদের যে বই তার নাম হল চাঁদের সাথে অবেলায়। এটি একজন কবি আর একজন চিত্রকরের যুগলবন্দী। যেখানে অবেলার চাঁদ মানে অবেলার দুঃস্বপ্ন বা অবেলার ভালোবাসা। যেখানে জীবনটাতে আমারা বাঁচতে পারি বা বাঁচতে চেয়েছি একটা মায়ার জগতে। 

যেখানে জীবনটা পুরোই মুক্ত। আমাদের বই সেদিকটাই তুলে ধরেছে"। চিত্র কবিতার এই অপরূপ মিলনকে তাপস কোনার কি চোখে দেখছেন তা জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন,"এই বইটি আমাদেরর একটি দীর্ঘ প্রয়াস। যেখানে আমারা দুটো ভিন্ন শিল্পকে একত্রিত করে একটি যোগসূত্র স্থাপন করার চেষ্টা করেছি।" 
এরপর আমরা পেয়ে যাই আমাদের খুব প্রিয় মনোবিদ ও লেখিকা অনুত্তমা বন্দোপাধ্যায় এর সাথে কথা বলার সুযোগ। তাকে তাঁর   অভিজ্ঞতা জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, “আমি নিউ জেনারেশন নিয়ে অনেক বই লিখেছি।” এবছরের বইমেলা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গড়ে তুলেছে এক মহা মিলন। এতদিন স্কুল-কলেজ সব খোলার পরে এই বইমেলার খুবই প্রয়োজন ছিল। অজস্র বইয়ের মাঝে খুঁজে পাওয়া যাবে অনেক নতুনত্ব।  তাই পরিবারের সবাই একবার ঘুরে আসতে পারেন এবারের ৪৫তম কলকাতা বইমেলায়। 

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : PAYEL DAS

Tags:

Related News