নিয়ম না মানার অভিযোগে রাজ্যের প্রায় সাড়ে ৪০০ বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ(West Bengal Board of Secondary Education)।
পর্ষদের অনুমোদন পাওয়ার জন্য এই স্কুল গুলিকের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে জানিয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, এ ব্যাপারে রিপোর্ট না পেলে স্কুলগুলির অনুমোদন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবেন তাঁরা। ISCE ও CBSE- দুই দিল্লি বোর্ড ছাড়াও রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলির(Private School) একটা অংশ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীন। ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমের এইসব বেসরকারি স্কুল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিলেবাস মেনে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। পর্ষদ সূত্রে খবর, রাজ্যে এরকম স্কুলের সংখ্যা ৪৫৬। এখন এই স্কুলগুলির ক্ষেত্রেই পর্ষদের সিদ্ধান্ত না মানার অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের দাবি, প্রয়োজনে এই স্কুলগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে পর্ষদ। সেক্ষেত্রে বন্ধ হতে পারে এই স্কুলগুলি।
পর্ষদ সভাপতি বলেছেন, ‘‘আমরা ওয়েবসাইটে পর্ষদ অনুমোদিত বেসরকারি স্কুলগুলির নাম আপলোড করছি। তাই এই রিপোর্ট আমাদের কাছে জরুরি। তাই স্কুলগুলির কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। ১৫টি স্কুল সেই রিপোর্ট দিয়েছে। বাকিরা দেয়নি। তা ছাড়া আমরা জানতে পারছি, অনেক স্কুলেই নিয়ম মানাও হচ্ছে না।’’
রাজ্যের ৪৫৬টি বেসরকারি স্কুলে পর্ষদের বই পড়ানো হচ্ছে না। এমনকি সেই জায়গায় কী বই পড়ানো হচ্ছে সেই তথ্য পর্ষদ চেয়ে পাঠিয়েও পায়নি। কার্যত পর্ষদকে পাত্তাই দিচ্ছে না এই স্কুলগুলি। পর্ষদের কাছে অভিযোগ এসেছে, এই স্কুলগুলিতে পর্ষদ অনুমোদির বই না পড়িয়ে অন্য বই পড়ানো হচ্ছে। সেখানে সিলেবাসও যে সব জায়গায় মিলছে এমন নয়। বিশেষ করে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেনীর বইয়ে সিলেবাস মিলছে না বললেই চলে। এবার এই সমস্যা সমাধানের জন্যই এই স্কুলগুলির অনুমোদন বাতিল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর পর্ষদের এই হুঁশিয়ারির মুখে পড়ে বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে স্কুলগুলি।
পর্ষদের দাবি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের মতো পর্ষদ অনুমোদিরত বেসরকারি স্কুলেও পর্ষদের বই পড়ানোর কথা। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত পর্ষদের বই। নবম-দশমে বাংলা, ইংরেজি ও অঙ্ক বই পর্ষদের। কিন্তু অভিযোগ, অনেক স্কুলেই এই বই পড়ানো হচ্ছে না। সেই মর্মে স্কুলগুলির কাছে তথ্য চাওয়া হয়। কিন্তু পর্ষদ সূত্রে খবর, ১৫-১৬ টি ছাড়া, কোনও স্কুল তথ্য দেয়নি। এই প্রেক্ষাপটে স্কুলের অনুমোদন প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।