যুদ্ধ পরিস্থিতির ছায়া এবার সরাসরি এসে পড়ল ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মেগা টুর্নামেন্ট—ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর ওপর। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনার ফলে স্থগিত করা হল চলতি আইপিএল মরসুম। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) জানিয়েছে, আপাতত টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং সমস্ত স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনার পরই ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ধরমশালায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে পাকিস্তানের ধারাবাহিক হামলার কারণে সেই ম্যাচ চলাকালীনই ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় ধরমশালার স্টেডিয়ামে। হঠাৎ করে নিভে যায় সমস্ত আলো। নিরাপত্তার কারণে ম্যাচটি বাতিল করে দর্শকদের স্টেডিয়াম ছাড়তে অনুরোধ জানানো হয়। এই ঘটনার পরেই গভর্নিং কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়—আইপিএল আপাতত স্থগিত। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পাঞ্জাব কিংসের দুই অস্ট্রেলিয়ান তারকা, মার্কাস স্টয়নিস এবং জস ইংলিশ ইতিমধ্যেই তাঁদের দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুধু বিদেশি খেলোয়াড় নয়, দেশীয় ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়েও যথেষ্ট সতর্কতা নিচ্ছে বোর্ড।
দ্বিমুখী লড়াইয়ের ছক পাকিস্তানের, কড়া জবাব ভারতীয় সেনার — ছন্নছাড়া ইসলামাবাদ
উলেখ্য, বোর্ডের তরফে একটি ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিম’ গঠন করা হয়েছে, যারা ক্রিকেটারদের নিরাপদে নিজ নিজ দেশে বা গন্তব্যে ফেরানোর বিষয়ে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করছে। পাশাপাশি, কীভাবে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি পরে আয়োজন করা যায়, কিংবা আদৌ তা সম্ভব হবে কিনা—তা নিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ চলছে। বোর্ডের এক মুখপাত্র জানান, "এই মুহূর্তে খেলোয়াড় ও দর্শকদের নিরাপত্তা সবার আগে। আমরা সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো।" যদিও ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এটি একটি হতাশার সংবাদ, তবে জাতীয় নিরাপত্তা ও মানবিক দিক বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত বলে বোঝা যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেট মাঠে ফেরার আশা ক্ষীণ বলেই মনে করা হচ্ছে।