গতকাল, করাচিতে শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ পাকিস্তান চূড়ান্ত ভরাডুবি হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের ব্যাট ও বল উভয় বিভাগেই ছিল দুর্বলতা। টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান।
উলেখ্য, পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানি বোলাররা কিছুটা আক্রমণাত্মক ছিলেন, বিশেষ করে নাসিম শাহ এবং আবরার আহমেদ কিউয়ি ওপেনারদের চাপে রেখেছিলেন। ১০ ওভার শেষে দুই কিউয়ি ব্যাটার আউট হয়ে যান। ১৭ বলে ১০ রান করে ডেভন কনওয়ে এবং মাত্র ১ রানে আউট হন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, যিনি গত ৬ বছরে ওয়ানডেতে এক অঙ্কের রান করেননি। তবে, তিন উইকেট পড়ার পর কিউয়িরা ঘুরে দাঁড়িয়ে ইনিংস গড়তে থাকেন উইল ইয়ং ও টম ল্যাথামের ব্যাটে। ইয়ং ১১৩ বল খেলে ১০৭ রান করেন এবং ল্যাথাম ১০৪ বল খেলে ১১৮ রান করেন, আর গ্লেন ফিলিপস ৩৯ বলে ৬১ রান করেন। একে একে তারা পাকিস্তানি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৩২০ রানে পৌঁছে দেন।
৪৮৯ দিন পর ফের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশ
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ৩২১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চোটের ধাক্কা খায়। ফখর জামান ফিল্ডিং করতে গিয়ে কোমরে আঘাত পান এবং ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি। বাবর আজমের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন সউদ শাকিল, যিনি মাত্র ৬ রানে আউট হন। অধিনায়ক রিজওয়ানও মাত্র ৬ রান করেন। এরপর ফখর ৪১ বল খেলে ২৪ রান করেন, আর বাবর ৯০ বল খেলে মাত্র ৬৪ রান করেন। সোলেমান আঘা ও খুশদিল শাহ কিছুটা লড়াই করে তাড়াতাড়ি রান তোলার চেষ্টা করেন, তবে কিউয়ি বোলারদের শক্ত আক্রমণের সামনে ৪৭.২ ওভারে পাকিস্তান ২৬০ রানে অলআউট হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে মিচেল স্যান্টনার এবং উইলিয়াম ও’রুরকি তিনটি করে উইকেট নেন, ম্যাট হেনরি পান দুটি উইকেট। পাকিস্তান ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে যায় এবং তাদের রান রেট এখন অনেকটাই খারাপ হয়ে গেছে, যা নকআউট পর্বে যাওয়া কঠিন করে তুলছে। এতে করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নকআউট পর্বে উঠার জন্য পাকিস্তান আরও পিছিয়ে পড়েছে, আর তাদের আত্মবিশ্বাসও বেশ নিচে চলে গেছে। আগামী ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে মোকাবেলা করার আগে দলের জন্য এই হারে অনেক কিছু বদলে যেতে পারে।