কলকাতা পুলিশ কৃষ্ণনগরে এক যুবকের বাড়িতে হানা দিয়ে সফল সাইবার প্রতারণা চক্রের অংশভুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে ৭৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে একটি বড় অংশই ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। এই অভিযানটি সাইবার প্রতারণা সম্পর্কিত একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কলকাতার চারু মার্কেট থানায় কিছু মাস আগে ডিজিটাল গ্রেফতারি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল, যেখানে ৬৬ লক্ষ টাকার প্রতারণার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের তদন্তে পুলিশ কৃষ্ণনগরের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে, যারা মূলত সাইবার প্রতারণা এবং ডিজিটাল গ্রেফতারি সংক্রান্ত অপরাধের সাথে জড়িত। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকরা গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে কৃষ্ণনগরে অভিযান চালান। প্রথমে গ্রেফতার করা হয় প্রতাপ রায় নামে এক যুবককে, যার কাছ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ৮ লক্ষ টাকার অঙ্ক উদ্ধার হয়। তার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে আরও দুই সহযোগী উৎপল সিকদার এবং কুমারেশ হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। এই তিনজনের কাছ থেকে মোট ৭৪ লক্ষ টাকা, দুটি ল্যাপটপ এবং দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আবিষ্কার হয়ে গেল! এভারেস্টের চেয়ে বেশি উঁচু দুই শৃঙ্গ
উলেখ্য, এই সাফল্যের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশ এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা সাইবার প্রতারণা মোকাবিলায় তাদের সুনাম আরও বৃদ্ধি করবে। এদিকে, রাজ্য তথ্যপ্রযুক্তি দফতর সাইবার প্রতারণা রোধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সম্প্রতি একটি সচেতনতামূলক বই লঞ্চ করেছেন, যাতে বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলের জন্য কার্টুনের মাধ্যমে সাইবার ফাঁদ থেকে সাবধান থাকার উপায় শেখানো হচ্ছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে একটি ডিজিটাল অ্যাপও চালু করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর, পুজোর আগে কেন্দ্রীয় সরকার সাইবার প্রতারণা রোধে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছিল। এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই ধরনের অভিযানের মাধ্যমে সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতা এবং কঠোর পদক্ষেপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সমাজে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।