স্পেসএক্সের মহাকাশযান ক্রিউ-১০ সম্প্রতি সফলভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) এ পৌঁছেছে। ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে এই মহাকাশযানটি শনিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ফ্লরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ক্রিউ-১০ মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছায় এবং গোটা প্রক্রিয়াটি নিরাপদে সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন নাসা কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, এই মহাকাশযানটি, সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোরসহ আরও চার নভশ্চরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে। গত নয় মাস ধরে মহাকাশে আটকে থাকা সুনীতা এবং বুচ তাদের অভিযানে নেমেছিলেন গত বছরের জুন মাসে। তবে, তাঁদের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়, কারণ তাঁদের ব্যবহৃত বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে নাসা সিদ্ধান্ত নেয় যে, এই যানে তারা ফিরে আসবেন না এবং তাঁদের মহাকাশ সফর একেবারে দীর্ঘায়িত হয়ে যায়। তবে, আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই তাঁরা পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। স্পেসএক্সের ক্রিউ-১০ মহাকাশযানে আরও চার নভশ্চরও ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নাসার অ্যান ম্যাক্লেন, নিকোল আইয়ার্স, জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার প্রতিনিধি টাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রতিনিধি কিরিল পেসকভ। তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব সুনীতা এবং বুচের কাছে হস্তান্তর করে পৃথিবীতে ফিরবেন।
নাসা সূত্রে জানা গেছে, মহাকাশযানটির গন্তব্যে পৌঁছানোর পরও সুরক্ষা পরীক্ষার জন্য এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে, যার পর মহাকাশযানের দরজা খুলে দেয়। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ক্রিউ-১০-এর দরজা খোলার কথা। এর পর, ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ সুনীতা এবং বুচ মহাকাশযানে ওঠার কথা রয়েছে। তাদের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরবেন নাসার নিক হগ এবং রাশিয়ান নভশ্চর আলেকজ়ান্ডার গর্বুনভ। আগামী বুধবার, ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুর ১:৩০ নাগাদ স্পেসএক্সের মহাকাশযান সুনীতা এবং অন্য নভশ্চরদের নিয়ে পৃথিবীর উদ্দেশে যাত্রা করবে।
শীত-গরম, বৃষ্টি-তাপপ্রবাহে অস্থির আবহাওয়া
উলেখ্য, এই দীর্ঘ এবং চ্যালেঞ্জিং মহাকাশ অভিযানে সুনীতা উইলিয়ামসের অবদান বিশ্ব মহাকাশ গবেষণায় অত্যন্ত মূল্যবান। একাধিক মহাকাশ মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে আসছেন। আশা করা হচ্ছে, তিনি এবং তাঁর সঙ্গী নভশ্চররা নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা নতুন প্রজন্মের মহাকাশচারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। ভবিষ্যতে মহাকাশের বিভিন্ন গবেষণার ক্ষেত্রে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং উন্নয়ন হবে, যা মানবজাতির জন্য কল্যাণকর হবে।