মহাকাশের বিশাল শূন্যতায় আটকে পড়েছেন আমেরিকার খ্যাতনামা মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। আগামী দিনগুলোতে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরার যে দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল, সেটি আরেক দফা পিছিয়ে গিয়েছে। নাসা এবং স্পেসএক্স, এই দুটি সংস্থা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে মহাকাশযান ফ্যালকন ৯-এর উৎক্ষেপণ স্থগিত রাখা হয়েছে। ফলে, সুনীতাদের পৃথিবীতে ফেরার সময়সীমা এখনো অস্বচ্ছ এবং নির্দিষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয়।
গত বছর, ৫ জুন মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। তাঁদের মহাকাশ ভ্রমণটি ছিল একটি বিশেষ প্রকল্পের অংশ, যেখানে এই দুই নভশ্চরের সাথে ছিলেন আরও কয়েকজন মহাকাশচারী। সুনীতা এবং বুচের ফিরে আসার জন্য গত মাসে ক্রিউ-১০ মহাকাশযান উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যা ১২ মার্চ পৃথিবী অভিমুখে যাত্রা করার কথা ছিল। ক্রিউ-১০ যাত্রার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নাসার অ্যান ম্যাক্লেন এবং নিকোল আয়ার্স, জাপানের তাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার কিরিল পেসকভ। তাঁদের প্রত্যেকের গবেষণার কাজ শেষ হলে, একসাথেই মহাকাশযানটির মাধ্যমে পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতা এবং বুচ।তবে, কিছু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ এখন স্থগিত রয়েছে। নাসা এবং স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুত এই সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু কবে ফের মহাকাশযানটির যাত্রা শুরু হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
বড়সড় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
উলেখ্য, সুনীতা এবং বুচের পৃথিবীতে ফেরার অঙ্গীকার, যে বোয়িং স্টারলাইনারে করে তাঁরা মহাকাশে গিয়েছিলেন, সেই মহাকাশযানটিতেই একটি বড় যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে তাঁদের ফেরার পরিকল্পনা কয়েক মাস পিছিয়ে যায়। বোয়িং স্টারলাইনারে সমস্যা ধরা পড়ার পর, ফেরার ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি আমেরিকা, ফলে সুনীতা ও বুচ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই আটকে পড়েন। পরে, নাসা স্পেসএক্সের সাহায্য নেয় সুনীতা ও বুচকে ফিরিয়ে আনার জন্য। এখনো পর্যন্ত সুনীতা এবং বুচের ফিরে আসার দিন নিয়ে কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নাসা এবং স্পেসএক্স উভয়েই নিশ্চিত করেছে, যান্ত্রিক সমস্যা দ্রুত সমাধান করার জন্য তাদের সব রকম চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।