ভারতের ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষা সফল

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

 “ব্রম্মোস” হল একটি মাঝারি পরিসরের র‍্যামজেট সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র,যা ডুবোজাহাজ,জাহাজ,বিমান বা ভূমি থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এটি রাশিয়ান ফেডারেশনের এনপিও মাশিনোস্ট্রোয়েনিয়া এবং ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এর মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগে নির্মিত, যারা মিলে “ব্রহ্মোস” এয়ারোস্পেস গঠন করে। “ব্রহ্মোস” নামটি ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কভা দুটি নদীর নাম থেকে গঠিত একটি পোর্টম্যানটু।
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য চিনের সঙ্গে নতুন করে সেনা কম্যান্ডার পর্যায়ের কথাবার্তা চলছে। এই সময়ে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম এসেছে ভারতের হাতে। চিন ও পাকিস্তানের বার্তা দিতে আবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করল ভারত। শব্দের চেয়েও বেশি দ্রুত শক্তিশালী ব্রহ্মোস মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা।
গত মঙ্গলবার ভারত থেকে ছাড়া, এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োগ সফল ভাবে পরীক্ষা করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি স্টিলথ গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার থেকে উন্নত সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নৌ-সংস্করণ সফলভাবে হয়েছে। ওড়িশার উপকূলে চাঁদিপুরের ইন্ট্রিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বায়ু সংস্করণের সফলভাবে পরীক্ষা করে ভারত। ডিয়ারডিও-র সূত্র জানিয়েছে এটি একটি দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষেপণাস্ত্র। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। ডিআরডিও টুইট করেছে, “ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত সমুদ্র থেকে সমুদ্রের রূপ আজ আইএনএস বিশাখাপত্তনম থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে। মিসাইলটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অবিকল আঘাত করেছে।”
১৯৮৭ সালে মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম নামে একটি সংগঠন তৈরি হয়। ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে সেই সময়ে বিশ্বে এগিয়ে ছিল যে সব দেশ,তারাই এই সংগঠন গড়ে তোলে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি বিভিন্ন দেশের হাতে ছড়িয়ে পড়া রুখতেই ওই সংগঠনের জন্ম। ভারত সে সময় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা শুরু করলেও তখনও তেমন উন্নতি করতে পারেনি। তাই তখন ভারতকে এমটিসিআর-এর সদস্য হতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু গত দেড় দশকে মিসাইল টেকনোলজিতে ভারতের এত দ্রুত উত্থান ঘটেছে যে এমটিসিআর-এর সদস্য দেশগুলির অনেক দেশের থেকেই এগিয়ে গিয়েছে ভারত।

নয়াদিল্লির অস্ত্রাগারেও অনেক রকমের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। আর সেগুলির ক্ষমতা অনেকটাই বিধ্বংসী। তাই আমেরিকা,চিন, রাশিয়া ছাড়া অন্য যে কোনো দেশের পক্ষে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের গুলির সাথে পেরে ওঠা মুশকিল। চিনের সাথেও ভারতের ব্রহ্মোস টেক্কা দিয়েছে। পৃথিবীর অন্যন্য যত ধরনের ক্রুজ মিসাইল আছে তার মধ্যে “ব্রহ্মোস” সবথেকে বেশি শক্তিশালী। রাশিয়া বানানো মাঝারি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল থেকে উন্নত সংস্করণ হল “ব্রহ্মোস”। যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার, অ্যাটাক কপ্টার তার ত্রিসীমানায় আসা শত্রুপক্ষের যে কোন সামরিক অস্ত্রকে এক নিমেষে ধ্বংস করে দিতে পারে ভারতের এই ব্রহ্মোস। মাটি, আকাশ, জল তিন জায়গা থেকেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া যাবে।

এর গতিবেগ এতটাই বেশি যে একবার টার্গেটের দিকে ধেয়ে গেলে মাঝ পথে তাকে থামিয়ে দেওয়া প্রায় অসম্ভব। প্রতিরক্ষার তিন স্তম্ভ স্থলবাহিনী, বায়ুসেনা ও নৌবাহিনীর হাতে রয়েছে ব্রহ্মোস। ব্রহ্মোসের হাইপারসনিক ভার্সন ব্রহ্মোস-২ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ২৯০ কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে যে কোন টার্গেট নির্ভুল নিশানা করতে পারত ব্রহ্মোস। পরে তা ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত করা হয়। বর্তমানে রাশিয়ার সাথে যৌথ উদোগ্যে এই ক্রুজ মিসাইলের পাল্লা ৬০০ কিলোমিটার এর বেশি রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রহ্মোসের নতুন প্রজন্ম শুধু দুরন্ত গতিতে ছুটবেই তাই নয়, একেবারে লক্ষ্যবস্তুর নাকের ডগায় গিয়ে আঘাত করবে। প্রতি বছর গড়ে ৮০-১০০টি ব্রহ্মোস-এনজি মিসাইলের উৎপাদন শুরু করবে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aditi Sarker