২০০৯ সালে অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল উলুবেরিয়া ১ ব্লকের বহিরা পঞ্চায়েতের ছোট আমশা জুনিয়র স্কুলটির। এবং ২০১৩ সালে এসে শিক্ষা দপ্তর ও স্কুলটিতে একজন স্থায়ী শিক্ষিকা নিয়োগ করেছিলেন,যার নাম ঝুমা পাল। তবে প্রথম থেকেই ছাত্রছাত্রী অপেক্ষা শিক্ষক কম ছিল, পরে আবার মাত্র একজন শিক্ষিকায় ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই স্কুলটির। মূলত শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকার কারণেই পড়ুয়ার সংখ্যাও কম ছিল ধীরে ধীরে।
কিন্তু এও দেখা গেছে যে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী না আসলেও একমাত্র শিক্ষিকা ঝুমা পাল রোজই আসতেন স্কুলে।
উলুবেরিয়া দক্ষিণ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক দিলীপ মাইতি জানান গত কয়েকদিন ধরেই বিদ্যালয়টি ছাত্র-ছাত্রী হীন ছিল। আর বিদ্যালয় মানেই ছাত্র-ছাত্রীদের সমাগম। কিন্তু সেই বিদ্যালয়েই যদি ছাত্র-ছাত্রী না থাকে তাহলে বিদ্যালয় খুলে রাখার মানে কি? আর তাই বিদ্যালয়টি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আবার এও বলা হয়েছে যেহেতু ছাত্রছাত্রী না থাকায় স্কুলটি বন্ধ হচ্ছে তাই ভবিষ্যতের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হলে এই স্কুলটি আবার খোলা হবে।
আর তাই ওই বিদ্যালয়টির একমাত্র শিক্ষিকা ঝুমা পালকে বদলি করা হয়েছে কুলগাছিয়া নেতাজি বালিকা বিদ্যামন্দিরে। আর এখন ওই বিদ্যালয়টিতে তালা ঝুলছে, চাবি আছে পার্শ্ববর্তী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকাদের কাছে।
তবে তিনি খুশি নন বিদ্যালয় থেকে যাওয়ার সময় তার গলাতেও দুঃখের সুর শোনা গেছে। এবং গ্রামের একমাত্র বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে গ্রামবাসীরাও আক্ষেপ জানিয়েছেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা রঘুনাথ পুরকাইত জানান, গ্রামের একমাত্র বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়াটা লজ্জার।