মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে, গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। সে তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৮ জন। আমরা চার লক্ষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে।
আবার এদিকে নাকি ঘোষনা করা হয়েছে ১০ লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ প্রয়োজন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা যেখানে কমে যাচ্ছে সেখানে এত শিক্ষক নিয়োগ কর পিছনে শুধুমাত্র অর্থের অপচয় করা হবে এমনটাই জানিয়েছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
শিক্ষামন্ত্রীকে আইনে বদল আনতে বলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যে সমস্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম সেখানে শিক্ষক নিয়োগের কোন প্রয়োজন নেই এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এবং কাছাকাছি অন্য কোন বিদ্যালয়ে যেখানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রচুর সেখানেই শিক্ষকদের বদলি করা হোক এমনটাই দাবি করেছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
কিন্তু এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিরা মানুষ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন করোনা অতিমারির কারণেই এই অবস্থা। গত দু বছরে ঘরনা আবহের কারণে অফলাইনে ক্লাস হয়নি। আর অনলাইনে হয়তো পড়াশোনা সেভাবে হয়নি সে কারণে অনেকে টেস্টেও পাশ করেনি।
আবার দেখা যাচ্ছে প্রস্তুতির অভাবে এ বছর অনেকে স্বেচ্ছায় পরীক্ষা দিতে বসছে না। আর তাই গতবছরের তুলনায় এ বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এত কমেছে। আর সেই বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শোনা গেছে বিচারপতিকে বসুকে। আর তাই তিনি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিচারপতি মন্তব্য করেছেন যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাই কমে যাচ্ছে সেখানে শিক্ষক নিয়োগ করা মানে শুধুমাত্র অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।