ভারতের বাজারে আজকাল গাড়ির চাহিদা তুঙ্গে। প্রায় প্রত্যেকটি জনপ্রিয় গাড়িতে লম্বা ওয়েটিং করতে হয় গ্রাহকদের। তবুও গাড়ির মূল্যবৃদ্ধি রীতিমত সমস্যায় ফেলছে সাধারণ মানুষকে। এক্স শোরুম মূল্যের পর গাড়ির রেজিস্ট্রেশন এবং ইন্সুরেন্স বাবদ প্রচুর খরচের পর এক্স শোরুম মূল্য এবং অন রোড মূল্যের মধ্যে এক বিস্তর ফারাক সৃষ্টি হচ্ছে।
ভারতে ক্রেতাদের গাড়ি কেনার পর উপরি একাধিক জিনিসের জন্য চার্জ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে রেজিস্ট্রেশন চার্জ ও ইন্স্যুরেন্স। সেই কারণে গাড়ির এক্স-শোরুম দাম ও অন রোড দামের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক থাকে। এই পরিস্থিতিতে সকলেই ভাবতে থাকেন কী ভাবে দামের উপর ছাড় পাওয়া যায়। সম্প্রতি অটো এক্সপোতে এই উপায় বাতলে দিলেন খোদ পরিবহন ও সড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি।
তিনি এমন একটি উপায় বললেন যার মাধ্যমে গাড়ি কিনলে ১৫ শতাংশ অবধি ছাড় পাওয়া সম্ভব। নীতিন গড়কড়ি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের যানবাহন স্ক্র্যাপ নীতির ফলে গ্রাহক ও সংস্থা দু’পক্ষেরই লাভ হতে পারে। এই নীতির ফলে গাড়ি বিক্রিতে প্রায় ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি আসতে পারে বলে মত তাঁর। অটো এক্সপো ২০২৩-এ তিনি বলেন, “স্ক্র্যাপের ক্ষেত্রে গাড়ি বিক্রিতে ১০ থেকে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া যাবে। পাশাপাশি প্রস্তুতকারক সংস্থাও কাঁচা মালের ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ খরচ কমাতে পারবে।”
আসলে তিনি জানিয়েছেন যে গাড়ির স্ক্র্যাপ নীতির ফলে যে সমস্ত ব্যক্তি গাড়ির স্ক্র্যাপ করছেন তারা অবশ্যই নতুন গাড়ি কিনবেন। তাই এই স্ক্র্যাপ সার্টিফিকেট দেখালে ক্রেতাদের গাড়ির দামের ওপর ডিসকাউন্ট দিতে হবে। এতে লাভ হবে উভয় ক্রেতা এবং গাড়ির কোম্পানিগুলির। অন্যদিকে স্ক্র্যাপ সার্টিফিকেট থাকলে অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকেও ছাড় দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
সরকারের এই স্ক্র্যাপ নীতির অধীনে কারও গাড়ি যদি ১৫ বছরের পুরোনো হয়, তাহলে সেটিকে বাতিল করতে হবে। এর ফলে সরকার সেই গ্রাহককে একটি সার্টিফিকেট দেবে। এই সার্টিফিকেট পাওয়ার এক বছরের মধ্যে আপনি যদি কোনো গাড়ি কেনেন তাতে ১৫ শতাংশ অব্দি কর ডিসকাউন্ট পেয়ে যাবেন। অবশ্য যদি কমার্শিয়াল গাড়ি হয় তাহলে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কর ডিসকাউন্ট পাবেন।