আজকাল নিজেদের ত্বক, স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন। অনেকেই বিভিন্ন পদ্ধতিতে নিজেদেরকে সুন্দর করে তোলেন। কেউ ডায়েটের মাধ্যমে নিজের ওজন ধরে রাখেন , আবার কেউ ত্বক , চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি বা বাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যের উপর নির্ভর করেন।
বিশেষ করে মহিলাদের ত্বকের পাশাপাশি আরো একটি চিন্তা থাকে , চুলের। অনেকেরই সাধ থাকে লম্বা চুলের আবার অনেকে ঘন চুল চান। তবে চুলের জন্য অনেককেই পরতে হয় নানা সমস্যায়। চুল পড়া সকলের এক সাধারণ সমস্যা। হাজার চেষ্টা করেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।
অনেক সময় চুল পড়ার কারণে মাথায় টাক পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে এরম অবস্থায় কিছু ঘরোয়া সহজ টিপস মেনে চললে চুল পড়া বন্ধ করা যায়। চুল ভালো ও সতেজ রাখতে ডায়েটের তালিকায় প্রোটিন ও ভিটামিন এ , বি , সি , ডি ও ই রাখতে হবে। এছাড়াও খাবারে আয়রন ও জিঙ্ক জাতীয় উপাদান রাখতে হবে । বিশেষ করে পুষ্টির ঘাটতির কারণে চুল পড়ে যায়। তাই সঠিক পুষ্টি শরীরে যাওয়া চুলের জন্য উপযুক্ত।
চুল পড়া বন্ধ করতে জেনে নিন কিছু ঘরোয়া টিপস -
১. সঠিক শ্যাম্পু নির্বাচন করা :
চুল পড়া বন্ধ করতে সঠিক শ্যাম্পু নির্বাচন করা প্রয়োজন। চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু সঠিক ও কোনটি নয় তা জেনে রাখা দরকার। চুল শুষ্ক হয়ে গেছে কি না বা মাথার ত্বকে ময়লা জমে আছে কিনা তা দেখেই শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে। ভুল শ্যাম্পু নির্বাচন করলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে।
২. খুশকি :
অনেক সময় খুশকির কারণে চুল পড়া শুরু হয়। এমন অবস্থায় খুশকি দূর করতে অ্যান্টিড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু বা দই দিয়ে চুল ধোয়া যেতে পারে। প্রতিদিন স্নানের পর ভালো করে চুল আঁচড়াতে হবে এবং শক্ত করে চুল বেঁধে রাখতে হবে।
৩. হেয়ার মাস্ক ব্যাবহার করা :
চুল পড়া বন্ধ করতে ও সুস্থ রাখতে হালকা করে চুল বাঁধতে হবে। চুল মজবুত করতে প্রোটিন যুক্ত হেয়ার মাস্ক লাগানো যেতে পারে। ১৫ দিনে একবার চুলে হেয়ার মাস্ক লাগাতে হবে। বাজারে বিক্রি হওয়া হেয়ার মাস্কের থেকে ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্ক চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বাড়িতে হেয়ার মাস্ক তৈরি করার জন্য একটি ডিম নিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে এরপর ২০ মিনিট পর মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪. নারকেল তেল ব্যাবহার করা :
নারকেল তেল চুল পড়া বন্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একটি পাত্রে নারকেল তেল গরম করে তাতে কারি পাতা দিতে হবে। এরপর সেটি কালো হওয়া পর্যন্ত ভালো করে ফোটাতে হবে । পাতা কালো হয়ে গেলে তেল নামিয়ে নিতে হবে। এরপর স্নানের এক ঘণ্টা আগে এই তেল সামান্য গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করতে হবে।
৫. ভেজা চুল :
অনেকেই তাড়াহুড়ো করে ভেজা চুল আঁচড়াতে শুরু করে দেয়। কিন্তু এটি অত্যন্ত একটি ভুল পদ্ধতি। ভেজা চুলে চুল ওঠার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ চুল ভেজা থাকলে চুলের ডগা দুর্বল হয় যার ফলে সহজেই ভেঙ্গে যায়।