এক বোতামেই মিলবে বিমানের যাবতীয় তথ্য

banner

#Pravati Sangbad Desk:

 বিমানের উড়ানের সময় বা ল্যান্ড করার সময় বিভিন্ন তথ্য প্রদানকারি সংস্থার অপেক্ষায় থাকতে হত পাইলটদের, অনেক সময় বড় দূর্ঘটনা ঘটতেও দেখা গেছে। তবে আর বেশিদিন নয়, নতুন বছরের শুরুতেই বদলে যাচ্ছে নিয়ম। এখন মাত্র একটি বোতাম টিপলেই মিলবে যাবতীয় দরকারি তথ্য। আগামি ২৭শে জানুয়ারি থেকেই চালু হতে চলেছে এই নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার। বিমান বন্দর থেকে বিমান ওড়ার সময় বা কোন বিমান বন্দরে বিমান অবতরনের সময় সাধারণত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে হয় বিমানের পাইলটদের, আর তা খুব দ্রুত করতে হয়। এই তথ্য প্রদান করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার বা বিভিন্ন তথ্য প্রদানকারি সংস্থা। তবে এই নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে এই সমস্ত তথ্য মিলবে এক সাথে সাজানো গোছানো ভাবে। গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে কোন রুট ব্যবহার করতে হবে, সর্বাধিক কতটা উচ্চতায় ওড়া যাবে, সেখানকার আবহাওয়ার পূর্বাভাস সমস্ত কিছুই জানা যাবে এক ক্লিকেই। এমনকি রানওয়ের আয়তন কত, সেখানে কোন বিমান আছে কিনা তাও জানা যাবে এই নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে। 

এখন বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য বেসামরিক বিমান সংস্থাগুলিকে তথ্য প্রদানকারি সংস্থার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়, তার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং বিমান বন্দর কতৃপক্ষ। এই নতুন প্রযুক্তির সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই, তাদের মতে এই নয়া প্রযুক্তির ফলে বেশ সাহায্য হবে বিমান চালকদের।  এছাড়াও কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে অনায়াসে তদন্ত করা সম্ভব হবে। বর্তমানে আবহাওয়া দপ্তরের সাথে যুক্ত রয়েছে দিল্লি মুম্বই চেন্নাই আর কোলকাতার মত বড় বিমান বন্দর, কিন্ত এই নয়া প্রযুক্তির সাহায্যে বাকি সব বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ যুক্ত হতে পারবে। এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এর কর্তা কল্যাণ চৌধুরী এবং বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে পাইলটদের এবং বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য এক সাথেই পাওয়া সম্ভব হবে, যা তাদের পক্ষে খুব দরকারিʼ। এক বেসরকারি উড়ান সংস্থার পাইলট জানিয়েছেন, ‘ প্রত্যেক বিমান বন্দরে ফ্লাইট ডেসপ্যাচ নামক এক বিভাগ থাকে, তারাই পাইলটদের প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য প্রদান করে, এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার হলে ফ্লাইট ডেসপ্যাচ বিভাগের সাথে সাথে বিমানের পাইলটদেরও সুবিধা হবেʼ।

  তিনি  আরও বলেছেন, ‘যে কোন ধরনের ছোট বড় বিমান, প্রাইভেট বিমান বা জেট, পন্য পরিবাহী বিমান প্রত্যেকেই তথ্য প্রদানকারি সংস্থার ভরসা করে থাকতে হত, কিন্ত এই প্রযুক্তির ফলে তাদের কাজ আরও সহজ হলʼ। কল্যাণ চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, ‘ বেশ কিছুদিন আগেই আমাদের কাছে এই নতুন প্রযুক্তি চলে এসেছে, দরকার পড়লে এখনই সব তথ্য পাওয়া যাবে, তবে এটি আগামী ২৭শে জানুয়ারি থেকে সম্পূর্ণ কার্যকরী করা হবেʼ। আজকের আধুনিক বিশ্বে বিমান চালনা করার জন্য দরকার নির্ভুল তথ্য যা বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের বিমানের ফ্লাইট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে আপলোড করতে হয়। তথ্যের সাহায্যেই বিমান ওঠা নামা করতে পারে খুব সহজেই। তাই এক ছাদের তলায় যদি সব তথ্য পাওয়া যায় তাহলে অনেকটাই সুবিধা হবে বিমান চালানোর জন্য।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee

Related News