প্লাস্টিক পলিথিন বর্জন করুন

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

প্লাস্টিক-পলিথিন নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। প্লাস্টিক জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য যে ক্ষতিকর এ নিয়ে প্রতিনিয়ত শঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। দূষণজনিত ক্ষতি নিয়ে কারও কোন দ্বিমত নেই। ক্ষতি শুধু স্বাস্থ্য বা পরিবেশের নয়, প্লাস্টিক নানা বিঘ্ন ঘটাচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনধারায়। প্লাস্টিক বর্জ্য রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল করে দিচ্ছে। আমাদের দেশে পলিথিনবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল মূলত এ কারণেই। সরকারের দিক থেকেও একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পলিথিনের উৎপাদন এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন করা হয়েছে। তাতেও ফল কিছুই হয়নি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে উনিশ শতকে পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের প্রচলন মানবজীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। বর্তমানে আমাদের নিত্যব্যবহার্য সরঞ্জামের বেশির ভাগই প্লাস্টিক। ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, গৃহস্হালীর আসবাবপত্র, খাদ্যদ্রব্য বিপণন থেকে শুরু করে সর্বত্রই প্লাস্টিকের উপস্হিতি লক্ষণীয়। দৈনন্দিন ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বেশির ভাগই মাত্র একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়। ফেলে দেওয়া এসব প্লাস্টিকের সর্বশেষ গন্তব্য হয় নর্দমা,পুকুর, ড্রেন, নদী কিংবা সমুদ্র।

চলুন প্লাস্টিক এড়ানোর কয়েকটি উপায় জানা যাক,

বেলুন পচনশীল না।এগুলো প্রানীদেহের ক্ষতি এবং মাটির সাথে মিশে খাদ্য গুনাগুণ নষ্ট করে ফেলে।কিন্তু শিশুদের কাছে বেলুন খুবই আকর্ষনীয় একটি বস্তু।তাছাড়া জন্মদিন বা কোনো অনুষ্ঠানে বেলুন না হলে যেনো চলেই না।কিন্তু বেলুনের পরিবর্তে কাগজের তৈরী পম্পম ব্যবহার করা যায়।পম্পম দিয়ে ঘর সাজালে তা যেমন ঘরের সৌন্দর্য্য রক্ষা করবে তেমনি পরিবেশ বান্ধবও হবে। 

 আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে ঝুড়ি ব্যবহার করতে হবে।তা নাহলে এই ময়লাগুলোকে নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে স্তূপাকারে জমা করা হয়।যা নদীর জল,মাছ সবকিছুকে নষ্ট করে দেয়। 

৩০ মাইক্রোনের নীচে প্রস্তুত প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা ও এক্ষেত্রে অমান্যকারীদের কঠিন শাস্তি প্রদান করা।
যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ফেলে না দিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা, যাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে গিয়ে তাকে পুনর্নবীকরণ করতে পারে।
কোনাে প্লাস্টিক একবার ব্যবহার করার পর আবার সেটিকে ব্যবহারের জন্য রেখে দেওয়া যায় কি না তা দেখতে হবে।
দোকানে বা অন্যত্র যথেষ্ট প্লাস্টিক ব্যবহার (ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ক্ষেত্রে) বন্ধ করতে হবে। ক্রেতাকে বলতে হবে আমি প্লাস্টিক চাই না। বিক্রেতাকেও প্লাস্টিকের বদলে কাগজের ঠোঙা, চটের প্রস্তুত সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে।
সর্বোপরি প্লাস্টিকের ব্যবহার ও তার ক্ষতিকারক দিক সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করা খুব জরুরি।

এক গবেষণায় দেখা গেছে সমুদ্রে প্রতিবছর ৮০ লাখ টনেরও অধিক পরিমাণ প্লাস্টিক দূষণ হয়।তাই প্লাস্টিক এড়িয়ে চলুন।প্লাস্টিকে পরিবর্তে অন্যকিছু ব্যবহার করুন।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News