চলতি বছরেই কলকাতা মেট্রো শহরবাসী দের দুটি নতুন সুখবর দেয়। সেগুলি হলো - এক - পার্পেল লাইন। বা জোকা - তারাতলা লাইন এ ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে । ২০২২ এর শেষেই চলবে এই লাইনে মেট্রো।তাই বড়দিনের আগেই যেনো বড়দিনের উপহার পেয়ে গিয়েছেন বেহালাবাসী।
তবে জোকা - তারাতলা লাইনে মেট্রোর ট্রায়াল শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে শুরু হয়েছিল কলকাতার অপর একটি মেট্রো লাইনের ট্রায়াল।সেটি হলো গড়িয়া - রুবি মেট্রো লাইন। যা কলকাতা মেট্রো লাইন ৬ বা অরেঞ্জ লাইন হিসেবেও পরিচিত।
অরেঞ্জ লাইন মূলত কলকাতার দক্ষিণ ও পূর্বের অংশগুলোকে একত্রিত করতে চলেছে। এটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। কারণ এই মেট্রো চলবে গড়িয়া থেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ,দুটি স্যাটেলাইট সিটি ভায়া - সল্টলেক ও নিউটাউন।আপাতত মোট ৫ টি মেট্রো স্টেশন নিয়ে শুরু হবে এই মেট্রোর যাত্রাপথ।কবি সুভাষ, সত্যজিৎ রায়,কবি সুকান্ত, জোতিরিন্দ্র নন্দী ও হেমন্ত মুখোাধ্যায় এই ৫ টি স্টেশন দিয়েই চলবে অরেঞ্জ লাইন মেট্রো।কিন্তু কবে থেকে চলবে এই মেট্রো?
পুজোর সময় জোকা- তারাতলা লাইন এ ট্রায়াল শুরু হওয়ার ৯ দিনের মাথায় শুরু হয়েছিল গড়িয়া - রুবি মেট্রো ট্রায়াল। এই রুটের অধিকাংশ পরিমাণ রাস্তায় মেট্রো চালানো হয়েছিল,তবে প্রথমেই দেখা গিয়েছিল বড় সমস্যা। রাস্তার মাঝেই বিকট শব্দ শুরু হয় এবং মেট্রো থেমে যায়। এছাড়াও ৫.৪ কিমি এর এই রাস্তার যাত্রা শেষ করতে সময় লেগেছিল প্রায় এক ঘন্টা।তবে মেট্রো টি পড়ে বিনা ত্রুটিতে ট্রায়াল শেরে ফিরে আসে। এই প্রসঙ্গে এক মেট্রো রেল আধিকারিক বলেন ," একটি নন এসি রেক চালানো হয়েছিল ।কিছু টেকনিক্যাল ইস্যু এর জন্য মেট্রো থেমে গিয়েছিল। তবে সেইসব যান্ত্রিক গোলযোগ মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। মেট্রো চলতে এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।" অন্য এক আধিকারিক জানান," ৫ টি স্টেশন নিয়ে গড়িয়া - রুবি রুটে যাত্রী নিয়ে মেট্রো চলতে প্রস্তুত শুধু মাত্র এখন রেলওয়ে সেফটি কমিশন এর ছাড়পত্র পাওয়ার অপেক্ষা"। রেলওয়ে সেফটি কমিশন কবে সেই সবুজ সংকেত দেয় তারই অপেক্ষা করছে এখন কলকাতার মানুষজন।।