শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে থাকায় সরিয়ে দেওয়া হয় দুই চেয়ারম্যানকে

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) মারফত নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে  হেভি ওয়েট নেতা থেকে শুরু করে সরকারি আমলাদের, সেই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সচিব তথা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অশোক সাহা, উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাও। ইতিমধ্যে তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এমনকি বেআইনি ভাবে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদেরও গ্রেপ্তার করতে বলেছে আদালত। এরই মধ্যে আদালতে লিখিত ভাবে সিবিআই দাবি করেছে, এই বেআইনি নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে অবাধে চালানো যায়, সে জন্য  অনেককে পদ থেকে সরিয়ে মাস্টার মাইন্ড নিজের পছন্দ মতো ব্যক্তিদের এনে বসিয়েছিলেন এইে পদে, এমনই অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে আসল মাস্টারমাইন্ড প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই চার্জশিটে জানিয়েছে, এই কারণে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কমিশনের দুই প্রাক্তন চেয়ারম্যান শর্মিলা মিত্র ও সৌমিত্র সরকারকে। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারপার্সন শর্মিলা মিত্রকে সরিয়ে  সেই জায়গায় তিনি নিয়ে আসেন শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে। শান্তিপ্রসাদকে নিয়ে আসা হয়, যাতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইচ্ছা মতো জালিয়াতি ও বেআইনিভাবে এসএসসিতে নিয়োগ করা যায়। আরও একটি ঘটনার কথা সিবিআই উল্লেখ করেছে। এসএসসির  চেয়ারম্যান হিসাবে অধ্যাপক সৌমিত্র সরকার যোগদান করলে তাঁর উপর বিভিন্ন ধরনের চাপ দিতে শুরু করেন পার্থ  চট্টোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক নির্দেশ পালন করতে রাজি হননি সৌমিত্রবাবু। এমনকী, চোখের সামনে নিয়োগ দুর্নীতি শুরু হলে সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে  প্রতিবাদও করেছিলেন। ২০১৯ সালে  প্যানেল  বাতিল হওয়ার পর ‘সি’ ও ‘ডি’ গ্রুপের চাকরির জন্য ৩৮১ জনের সুপারিশপত্র শান্তিপ্রসাদ সিনহা তৈরি করেন। তিনিই ওই সুপারিশপত্রগুলি পাঠিয়েছিলেন মাধ্যমিক পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি  কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে । অভিযোগ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৈরি করা হয় ওই সুপারিশপত্রগুলি। এই দুর্নীতি দেখে এসএসসির চেয়ারম্যান হিসাবে সৌমিত্র সরকার ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে শোকজ করে চিঠি দেন। তাঁকে জবাবদিহি করতে বলা হয়। অথচ তার জবাব আসার আগেই সরে যেতে হয় তাঁকে। দুর্নীতিতে শামিল না হওয়ার জন্যই তাকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।  সিবিআইয়ের পক্ষে জানানো হয়েছে, ঐ শোকজের চিঠি পাঠানো নিয়েই তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঘুঁটি সাজাতে পদোন্নতি দেওয়া হয় এসএসসির তৎকলীন কর্তা অশোক সাহাকে। তাঁকে দিয়েই দুর্নীতির কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। এমনকি শোকজ করার পরেও শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে কোনও  ব্যবস্থা নেননি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু। আবার  প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সৌমিত্রবাবুকে ডেকে সতর্ক করে দেন বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। 
#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Susmita Das

Related News