১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বাংলা রাজনৈতিক চাপানউতোর বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে। কেন্দ্রকে এই নিয়ে দুষছে রাজ্যের শাসকদল। আবার বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দুর্নীতির কারণেই কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না রাজ্যকে। এই সবের মাঝেই ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্তে নামল ইডি।
বাংলার ৪ জেলায় অভিযান চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। সল্টলেকের একটি আবাসন, ঝাড়গ্রামের এক সরকারি আধিকারিকের কোয়ার্টারে, হুগলির চুঁচুড়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এবং মুর্শিদাবাদের একটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।
বহরমপুরের বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি চত্বরে রথীনদের বাড়িতে ইডি হানা। ১০০ দিনের দুর্নীতির কাণ্ডে ইডি হানা চলছে বিভিন্ন জায়গায়। রথীন দে তিনি নওদার পঞ্চায়েতের সচিব পদে কর্মরত ছিলেন।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নওদা ও বেলডাঙার বিডিও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দোষী প্রমাণিত হতেই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে আগে জেল খেটেছেন। বর্তমানে তিনি সাসপেন্ড রয়েছেন। পঞ্চায়েত দুর্নীতি থেকে একশো দিনের দুর্নীতির কান্ডে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সাত সকালে এই ইডির হানা হয়।
সল্টলেক সেক্টর-ওয়ানের ইবি ব্লকের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটেও চলছে তল্লাশি অভিযান। ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির অভিযোগে তল্লাশি। সূত্রের খবর, এই ফ্ল্যাটে থাকেন সঞ্চয়ন পান নামের এক ব্যক্তি। যিনি হুগলির ধনিয়াখালির বিডিও ছিলেন। ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির অভিযোগে যে এফআইআর হয়েছিল তার উপরে ভিত্তিতে করে ECIR দায়ের করে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, এই দুর্নীতিতে বেশ কিছু সরকারি অফিসারদের যোগ থাকার অভিযোগ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প মনরেগা ( MGNREGA) স্কিমের টাকা ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজ করেননি, এমন অনেক প্রাপকের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের টাকা সরানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সঞ্চয়ন পান এই মুহূর্তে বাড়িতে নেই। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।