হিন্দুদের চারটি ধামের মধ্যে অন্যতম এবং প্রধান হলো পুরী। প্রাচীনকালে এটি নীলাচল নামেই পরিচিত ছিল। বর্তমানে এই নীলাচল যা আজ হিন্দুদের কাছে পুরী নামেই পরিচিত। প্রতিবছর এই পুরী শহরে লক্ষ লক্ষ মানুষের আগমন হয় রথযাত্রার দিনটিতে শুধুমাত্র জগন্নাথ দেবের মন্দির দর্শনে। এখানে শুধুমাত্র জগন্নাথ দেবের মন্দিরটি নয় নানারকম দর্শনীয় স্থান এখানে আছে যেমন পুরীর সমুদ্র ,জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি থেকে শুরু করে গোবর্ধন মন্দির এছাড়াও ইস্কনের মন্দির, সিদ্ধ বকুল তোতাপুরী আশ্রম, বিমলা মন্দির, এছাড়াও এখানে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান হল পঞ্চতীর্থ।
পুরীর পাঁচটি জলধারাকে একত্রে পঞ্চ তীর্থ বলা হয়ে থাকে এখানে তীর্থ করতে আসা মানুষরা এই পাঁচটি জলধারায় স্নান করে তাদের তীর্থযাত্রা সম্পূর্ণ করে। সারা বছরেই ভ্রমণ করার জন্য পুরি শহরটি মানুষের কাছে একটি ভ্রমণময় শহর হিসেবে পরিচিত হলেও বিশেষ করে আশ্বিন মাসে রথযাত্রার দিনটিতে এখানে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়ে থাকে। প্রত্যেক হিন্দু ভক্তই কিন্তু জীবনে একবার এই পুরী ধামে ঘুরে আসার স্বপ্ন দেখেন। তবে পুরীধামে গেলে আপনারা উপরিউক্ত স্থান গুলি ছাড়াও ঘুরে আসতে ভার্গবি পারেন নদীর মোহনা, সোনার গৌরাঙ্গ আরো ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান। পুরী শহরের জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত আরো একটু মঠ যা গোবর্ধন মঠ বলেই পরিচিত।বৈদিক ধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার জন্য আদি শঙ্কর যে চারটি প্রধান মঠ স্থাপন করেন সেটি হলো এই গোবর্ধন মঠ। জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি যা গুন্ডিচা মন্দির বা বাগানবাড়ি নামেও পরিচিত ভক্ত দের কাছে। যেখানে বছরের ওই ১ টা দিন প্রচুর জনসমাগম ঘটে যেটি জগন্নাথ দেবের মূল মন্দির থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এভাবে কোন ভক্ত যদি একবার পরিদর্শনে যান তাহলে তারা জগন্নাথ দেবের সবকটি মন্দির তথা মঠ ঘুরে আসতে পারেন।