Flash news
    No Flash News Today..!!
Tuesday, May 21, 2024

“আমি শুধু মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আরো অনেক অনেক কাজ করে যেতে চাই,": মুখোমুখি দেবব্রত মজুমদার

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বাকি আর মাত্র গোনা কয়েকটি দিন, তারপরেই পৌর নির্বাচন। এবারের পুর নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে লড়াইয়ে নেমেছেন ৬ বিধায়ক ও ১  সাংসদ। যাদের নিয়ে কলকাতার রাজনৈতিক ময়দানে চর্চা একেবারে তুঙ্গে। এদিকে শেষ মুহূর্তের ভোট প্রচারে জোর দিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই। তালিকায় রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ ও দেবব্রত মজুমদারের মতো নাম। 

 

পৌরসভার দক্ষ কাউন্সিলার থেকে বিধায়ক হয়েছেন। একুশের হাইভোল্টেজ বিধানসভার ভোটে বামফ্রন্টিদের হেভিওয়েট প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীকে হারিয়ে যাদবপুর এলাকাটি পুনরুদ্ধার করেছেন। এবারেও আসন্ন পুর-ভোটের লড়াইতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে টিকিট পেয়েছেন দেবব্রত মজুমদার, যিনি যাদবপুর এলাকাতে মলয় মজুমদার বা মলয় দা নামেই বেশ পরিচিত।

 

আগে তিনি নিজের ৯৬নং ওয়ার্ডে থেকেই নির্বাচন জিতে এসেছেন, কিন্তু এখন এই ওয়ার্ডটি  মহিলা সংরক্ষিত হওয়ার ফলে , সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের এইবারের পুর-নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন  বাম আমলের মন্ত্রী তথা RSP নেতা প্রয়াত ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা গোস্বামী। এবং দেবব্রত মজুমদার লড়ছেন, পাশের ৯৭ নং ওয়ার্ড থেকে, যেটি টালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত।

 

প্রচারের কাজের ফাঁকে তিনি প্রভাতী সংবাদের মুখোমুখি হন –

জানালেন ভোটের প্রচার কাজ সামলিয়েও নাকি বিধায়কের কাজের ব্যস্ততা সামলাতে হচ্ছে তাকে। পৌরসভার প্রাক্তন ওয়ার্ড ৯৬নং যে জঞ্জাল অপসারনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার হাত ধরেই পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ ব্যবস্থাপনার আমূল পরিবর্তন এনেছেন তিনি। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়াতে ঝা-চক চকে হয়ে উঠেছে এই মহানগরী।

 

তার এই নির্বাচনে জয়ের পরের কি কি উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা আছে  জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “কলকাতাতে ইতিমধ্যেই ১২০টি কম্প্যাক্টর স্টেশন করা হয়েছে,  আরো কয়েকটির ব্যবস্থা করার ইচ্ছে আছে, এখন অনেক জায়গাতে ব্যাটারিচালিত গাড়ি চালু হয়েছে, সেই গাড়ির সংখ্যা প্রয়োজনে আরো বাড়াতে হবে। কিন্তু তার থেকে সব থেকে বেশি জরুরি শহরের বুকে জঞ্জাল পৃথকীকরণ বেশি করে জোর দিতে চাই। অর্থাৎ পচনশীল বর্জ্য এবং অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করার সময়েই পৃথক করার উদ্দ্যাগ নেওয়া হবে। এবং দ্বিতীয়বারের জন্য অপচনশীল দ্রব্য গুলি পুনর্ব্যবহার করে তোলাই হলো আসল লক্ষ্য। সাথে আবার জয়ী হলে কলকতাবাসীকে একটি ভ্যাট মুক্ত শহর উপহার দিতে চাই। তাছাড়াও আমার খুব বড় ইচ্ছে এই এলাকাতে দুঃস্থ বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ওয়ার্ডেই কিছু প্যাথলজি, ডায়াগনস্টিক, এরকম নানান রকম ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো। তারা যাতে ট্রেনিংয়ের মধ্যে দিয়ে কাজ শিখে স্বনির্ভর হতে পারে। এই এলাকাতে এরকম অনেক পরিবার আছে যারা চান যে তাদের ছেলে-মেয়েরা বোরো জায়গাতে পড়াশোনা করে, জীবনে অনেক উন্নতি করুক, কিন্তু দেখা যায় যে তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার জন্য তাদের সেই আশা, সেই ইচ্ছে পূরণ হয় না, আমি তাদের ছেলে-মেয়ের জন্য একটি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুল বানাতে চাই। বেসরকারি স্কুলের মতোই সেখানের কাঠামো হবে, আর ছেলে-মেয়েরা সব পড়াশোনা শিখে বড় হবে, জীবনে উন্নতি করবে, নিজেদের পায়ে দাঁড়াবে, পরিবারের পাশে দাঁড়াবে।”

জনগণ ওনার কাজে কেমন সারা দিচ্ছেন জিজ্ঞাসা করতে দেবব্রত মজুমদার বলেন যে ওনার প্রাক্তন ওয়ার্ডে তিনি অনেক রকম উন্নয়ন করেছেন। আগে এলাকাতে ওপেন ড্রেন ছিল, সেই গুলো উন্নত করার জন্য এখন সবই ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালাতে পরিণত করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘরে ঘরে মিষ্টি পানীয় জল পৌঁছেছে, ওয়ার্ডের বেশির ভাগ পুকুর সংরক্ষিত করা থেকে শুরু করে সুন্দর সুন্দর পার্ক নির্মাণ করে প্রকৃতি পরিবেশকে আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছেন।

 

তিনি বলেন, “আমি শুধু মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আরো অনেক অনেক কাজ করে যেতে চাই, আমি চাই মানুষ আমার কাজে যেন খুশি থাকে ভালো থাকে, তাদের যেন উপকার হয়।”

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Payel Das

Related News