ডিজিটাল
ইন্ডিয়া গঠনের পথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদি। শহর থেকে প্রত্যন্ত
এলাকার সব জায়গায় পৌঁছে
গেছে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ছোঁয়া। উন্নত হয়েছে বিভিন্ন আধিকারিক বিভাগ। তার জন্যই শুরু
করা হয়েছিল প্রতিটি পরিচয় পত্রের সাথে আধার কার্ডের
সংযুক্তিকরণ। এইবার সেই তালিকায় যুক্ত
হলো ভোটার কার্ডও। নির্বাচনী সংস্কারের কাজে জরুরী এই
সংযুক্তিকরণ। বহুদিন ধরেই নির্বাচন কমিশনে
দাবি ছিল ভোটার আইডি
কার্ডের সঙ্গে আধার যোগ করার।
২০১৬ সালে এ কে
জ্যোতি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই কাজে
আরো জোর দেয়। ভুয়ো
ভোটার কার্ডের বাড়বাড়ন্ত আজ সর্বত্র। ভুয়া
ভোটার কার্ড এবং ভোটার কার্ডের
তালিকা থেকে সেইসব অসঙ্গতি
সরাতে আধার কার্ডের সাথে
সংযুক্তিকরণ এর প্রস্তাব দেয়া
হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। অনেকক্ষেত্রে
দেখা যায় কাজের জন্য
কেউ তার নিজের রাজ্যের
বাইরে গেছে এবং নতুন
জায়গায় গিয়ে আরো একটি ভোটার
কার্ড বানিয়ে নিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী পুরনো যে কার্ডটি সিটি
কমিশনের কাছে জমা দিতে
হয় তবে অনেক ক্ষেত্রে
দেখা যায় প্রায় কেউই
তা মানেন না। এমনটাই অভিযোগ
করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও বহিরাগতরা রাজ্যে এসে নিজেদের ইচ্ছামত
ভোটার কার্ড তৈরি করে নিতে
পারে। এবং সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মের
জন্য ভোটার কার্ড এর অপব্যবহার করা
হয়।
আধার
কার্ডের সাথে সংযুক্তিকরণ এর
ফলে এই সমস্যা কিছুটা
কমবে বলেই ধারণা। সঠিক
ব্যক্তির পরিচয় পত্র পাওয়া যাবে।
ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে
বেশ কিছু নাম এবং
সংযুক্ত হবে সঠিক ভোটার
লিস্ট। এইসব কিছু সমস্যার
সমাধানের জন্য নির্বাচন কমিশন
আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ড সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব দেয়। এখনো পর্যন্ত ৩২
কোটি আধার কার্ডের সাথে
ভোটার নম্বর লিঙ্ক করা হয়েছে। নির্বাচন
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনী লিস্ট সংস্কার করতে চেয়েছে। ঠিক
যেমনভাবে প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ
করা হচ্ছিল একইভাবে ভোটার কার্ডের সাথে সংযুক্তিকরণ করা
যাবে। তবে আগের সবগুলো
যেমন বাধ্যতামূলক ছিল সেরকমটা হবে
না বলেই জানানো হয়েছে।
পরে তা বাধ্যতামূলক হতে
পারে কি না এমনটাও
জানা যায়নি ।
এখন
২১ বছর থেকে কমিয়ে
১৮ বছরে আনা হয়েছে
ভোট দেওয়ার অগ্রাধিকার। তবে আগের সবগুলো
যেমন বাধ্যতামূলক ছিল সেরকমটা হবে
না বলেই জানানো হয়েছে।
নতুন ভোটারদের এবার থেকে বছরে
চারবার করে সময় দেওয়া
হবে ভোটার লিস্টে নাম সংযুক্তির জন্য।
এতদিন পর্যন্ত একবারই নাম তোলা যেত।
ভোটার তালিকায় সবাইকে নিয়ে আসার জন্য এই
প্রচেষ্টা। মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে এ
ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।