পর্যটনে আসামের নানান দিক

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

নানা ঐতিহাসিক স্থাপত্যের সমাহার এবং প্রাকৃতিক কীরূপ সমৃদ্ধ অসম রাজ্য। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান মানাহ জাতীয় উদ্যান কামাখ্যা মন্দির তলাতল ঘর এবং কারেংঘর প্রভৃতি ঐতিহাসিক স্থান আসামের পর্যটনকে করে তুলেছে অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী। আসাম হলো ভারতের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত।
আসুন দেখে নেওয়া যাক আসামের পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে যে কয়টি মন্দির পড়ে তার নাম- ১)কামাখ্যা মন্দির। ২)নবগ্রহ মন্দির গোয়াহাটি। ৩)মহামায়া ধাম যেটি অবস্থিত ধুবুরী তে। ৪)তেজপুর এর কেতেকেশ্বর দেবালয় এবং ভৈরবী মন্দির সহ মহাভৈরবী মন্দির। ৫)উত্তর গুয়াহাটির দীর্ঘেশ্বরী দেবালয়, দোল গোবিন্দ মন্দির, ভীমেশ্বর ধাম, অশ্বক্রান্ত মন্দির।৬)শিবদৌল।
অসমে পাঁচটি জাতীয় উদ্যান আছে এবং আঠারোটি অভয়ারণ্য। সবথেকে উল্লেখযোগ্য কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ একশৃঙ্গ গণ্ডার পাওয়া যায়। এছাড়াও জাতীয় উদ্যান সহ বিভিন্ন অভয়ারণ্যটি বিলুপ্ত প্রজাতির জীব জন্তু থেকে শুরু করে নানা প্রাণী সংরক্ষিত আছে।
অভয়ারণ্য গুলি হল-১)পবিত্রা অভয়ারণ্য ২)সোনায় রুপায় অভয়ারণ্য ৩)লাওখোরা অভয়ারণ্য ৪)পাভৈ অভয়ারণ্য ৫)গরম পানি অভয়ারণ্য৬)বরনদী অভয়ারণ্য
জাতীয় উদ্যান গুলি হল-১)পৃথিবীর বিখ্যাত কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান ২)নামেরি জাতীয় উদ্যান ৩)মানস জাতীয় উদ্যান ৪)ওরাং জাতীয় উদ্যান১২)ডিব্রু-চইখোরা জাতীয় উদ্যান
এর পরই আসছে এশিয়ার দীর্ঘতম নদী ব্রহ্মপুত্র ভারত এবং আসামের এক প্রধান নদী। এটি প্রায় ২৯০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সম্পন্ন। বিভিন্ন জায়গায় অন্যদিকে বিভিন্ন নামে চেনা যায় যেমন কোথাও লুইত তো কোথাও লৌহিত্য আবার কোথাও বললুইত,চিরলুইত। এই নদীর উপর দিয়ে চারটি সেতু আছে ১)সরাইঘাট সেতু ২)কোলিয়া ভোমরা সেতু ৩)নরনারায়ণ সেতু এবং ৪)বগীবিল সেতু। এই ব্রহ্মপুত্র নদীর হাত ধরেই কাল ক্রমে নানা শ্রেণীর মানুষ এসে অসমে বসবাস শুরু করেছে।

এছাড়া অন্যান্য ঐতিহ্যপূর্ণ জেলাগুলির অসমের পর্যটনকেন্দ্র কে আরো বাড়িয়ে তুলছে। যেমন জোরহাট জেলা যাকে অসমের সাংস্কৃতিক রাজধানীও বলা হয়। এটি অসমের অন্যান্য পর্যটন জেলার মধ্যে অন্যতম । এটি চা উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত মনোরম জায়গা। এ ছাড়াও এই জেলার মধ্যে জোরহাট জিমখানা ক্লাব, দক্ষিণপাট সত্র, আউনীআটী সত্র প্রভৃতি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র অবস্থিত। এরপর আসে অসময়ের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক পর্যটন জেলা শোণিতপুর। এই জায়গার উল্লেখযোগ্য স্থান গুলি হল চিত্রলেখা উদ্যান গুপ্তেশ্বর মন্দির জ্যোতি ভারতী বিশ্বনাথ ক্ষেত্র প্রভৃতি। অহম সাম্রাজ্যের কথা আমরা সবাই শুনেছি এবং সেই সময়ের একটি ঐতিহাসিক স্থান হল শিবসাগর জেলা যা বর্তমানে আসামের একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। এই এলাকায় যে উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখা যায় তা হল তলাতল ঘর বা কারেংঘর, সরাইদেও, জয়দৌল, রুদ্র দৌল, গৌরী দৌল।
অসমের পর্যটন কেন্দ্রের নাম বললে গোয়াহাটির নাম না বললেই চলে না। এটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবথেকে বড় মহানগর যেখানে অবস্থান করছে কামাখ্যা মন্দির। আসামে যাওয়ার আগে সর্বপ্রথম এই গুয়াহাটি দিয়ে যাত্রা শুরু করতে হয় পর্যটকদের। অনেক আকর্ষনীয় পর্যটনস্থল স্বরূপ বিরাজ করছে এই মহানগরী।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Tags:

Related News