বিরাট জমানা কি তাহলে শেষ !

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

এবারের আইপিএলে নয় ইনিংসে তিনি করেছেন ১২৮রান ।
আগের দিন(আরসিবি বনাম আরআর) প্রসিধ কৃষ্ণার করা পরের ওভারের প্রথম তিন বলে রান নিতে ব্যর্থ কোহলি আউট হয়ে গেলেন চতুর্থ বলে। গোল্ডেন ডাকের হ্যাটট্রিক এড়ালেও তিনি ফিরলেন ১০ বলে ৯ রান করে। লাফিয়ে ওঠা বলে পুল করতে গিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু বল চলে যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে দৌড়ে আসা রিয়ান পরাগের হাতে। বল কি ব্যাটে লেগেছে না কি হেলমেটে, এমন প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি মারার আগেই ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা দিয়েছেন কোহলি।
আরও খতিয়ে দেখা গেলে গত বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আহমেদাবাদে ৭৩, ৭৭ আর ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ওয়ানডে ফর্মও দুর্দান্ত, শেষ ১৯ ইনিংসে দশবার পঞ্চাশ পার করেছেন, এর মধ্যে চারটা টানা চার ম্যাচে এসেছে। কোহলির জায়গায় অন্য কোনো ব্যাটসম্যান থাকলে এই পারফরম্যান্স দেখানোর পর তাঁকে নিয়ে কি এত সমালোচনা হতো?
তবে শেষ শতক পাওয়ার পর টেস্ট ও ওয়ানডেতে খেলা ৪৯ ইনিংসের প্রত্যেকটাতে আউট হয়েছেন কোহলি। টি-টোয়েন্টির মতো টেস্ট ও ওয়ানডেতে সময়ের অভাবে শতক পাননি, এটা বলা যায় না। শতকের অপেক্ষা আরও দীর্ঘ বলে মনে হয়, যখন বিবেচনায় আসে তাঁর ব্যাটিং পজিশন। 
প্রত্যেক ফরম্যাটেই প্রথম চারজনের মধ্যে ব্যাট করেন। টেস্ট আর ওয়ানডেতে (এখনো টি-টোয়েন্টিতে শতক হাঁকাতে পারেননি কোহলি) পঞ্চাশ রানের ইনিংসগুলোকে শতরানে পরিণত করার হার কোহলির এতই ভালো যে তাঁর এই শতকহীনতা অনেক বাজেভাবে চোখে লাগছে।
কোহলির এই শতক-খরা নিয়ে এত মাতামাতি হওয়ার কারণ সম্ভবত এই যে তাঁর মানের একজন ব্যাটসম্যানের জন্য ব্যাপারটা সাধারণ কিছু নয়। ওপরে যে ২২ ব্যাটসম্যানের কথা বলা হলো, সব সংস্করণ মিলিয়ে তাঁদের কারও সম্মিলিত গড়ই ৪০ নয়। টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে কোহলির মতো এত বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসও কারও নেই। এই দুই ফরম্যাটে ৫৪.৭৭ গড়ে ২০ হাজারেরও বেশি রান করেছেন কোহলি। 
ওপরের ২২ ব্যাটসম্যানের মধ্যে এই রেকর্ডে কোহলির কাছাকাছি আছেন সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে যিনি ৩৮.৭৭ গড়ে ১১ হাজার ২৪৪ রান তুলেছেন, গড়ের হিসাবে কোহলির চেয়ে ইনিংসপ্রতি প্রায় ১৬ রান কম।

তবে শতক-খরার দিক দিয়ে কোহলির এই উদাহরণই সবচেয়ে বাজে নয়। কিন্তু ওই যে পঞ্চাশ রানের ইনিংসগুলোকে শতরানে রূপান্তর করার দিক দিয়ে কোহলির চেয়ে সফল ব্যাটসম্যান এর আগে যে বিশ্ব কখনো দেখেনি! 
ভেবে দেখুন, সব ফরম্যাট মিলিয়ে টানা ৭১ ইনিংসে শতক পাননি কোহলি। এ সময়ের সঙ্গে তুলনা করা যাক শতকের দিক দিয়ে কোহলির সবচেয়ে সফল ৭১ ইনিংসের সময়কে। যে সময়ে তিনি ১৯ বার শতরান পেরিয়েছিলেন। এবার ডন ব্র্যাডম্যান আর শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে কোহলির তুলনা করা যাক। 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ও পরে ৭১ টেস্ট ইনিংসে ২৮ বার শতরান পেরিয়েছিলেন স্যার ডন। ওদিকে টেস্ট ও ওয়ানডেতে নিজের সবচেয়ে সফল ৭১ ইনিংসের সময়কালে (১৯৯৮ সালের মার্চ থেকে ১৯৯৯ সালের নভেম্বর) শচীন টেন্ডুলকার শতক পেয়েছিলেন ১৯টি। দুজনই এই তালিকায় কোহলির ওপরে আছেন।
কোহলি-ভক্তরাও এই মানদণ্ডের সঙ্গেই অভ্যস্ত, এ জন্যই তাঁর শতক-খরা নিয়ে এত বেশি কথা হচ্ছে!
তবে ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা দিচ্ছেন অন্য ব্যাখ্যা। সাংবাদিকেরা চুপ থাকলেই নাকি কথা বলতে শুরু করবে কোহলির ব্যাট!
বিরাটের এমন ঘটনা প্রবাহ বর্ণনা করে পিটারসন আরও বলেন, ‘সে ক্রিকেটে বিশাল বড় এক তারকা। বিরাট কোহলির উচিৎ তাঁর ক্রিকেট বুটকে ছয় মাসের জন্যে বিদায় বলে দেওয়া। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে সরে নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করা।’ কোহলিকে উপদেশ দেওয়ার পাশাপাশি পিটারসন  ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড ফর ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন ইন্ডিয়াকেও (বিসিসিআই) কেও উপদেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘তিনি ফিরে আসলে তাঁকে দলে আবার জায়গা করে দেওয়ার প্রতিস্রুতি দিতে হবে। যেন তিনি আরও তিন চার বছর খেলে যেতে পারেন। তাঁকে অভয় দিতে হবে তুমি আমাদের প্রধান অস্ত্র, আমরা জানি তুমি নিজের সেরাটা দিতে পারবে।’
মোদ্দাকথা  আর সবার মতে বিরাটের একটা লম্বা বিরতি প্রয়োজন। তিনি সবধরণের চাপ থেকে মুক্ত করতে চেয়েছেন এবং করেছেন। সকল দলের অধিনায়কের দায়িত্ব ছেড়েছেন। এখন সময় ক্রিকেটকে সাময়িক সময়ের জন্যে বিরতি দেওয়ার। নিজের সেই হারানো ধারাবাহিকতা ফিরে পেতে এতটুকু নিশ্চয়ই করবেন বিরাট। একটি অস্থির মস্তিষ্ক নিয়ে তো আর শিল্প বাঁচানো যায় না।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Avijit Das

Tags:

Related News